কলঙ্কে ঘাটিয়া নিল চাঁদের পসর।[১]
দেবের অমৃত ফল খাইল বানর॥
আর না ফিরিব আমি আশ্রমে আমার।
আগুনে পুড়াইয়া সব করি ছারখার॥
মনেতে করিনু স্থির ভাবিয়া চিন্তিয়া।
মারিব পাপিষ্ঠা কন্যা জলে ডুবাইয়া॥”
পাষাণও দয়াল হয় হেরিলে লীলায়।
দুষমনও ফিরিয়া আঁখি পালটিয়া চায়॥[২]
যাহার লাগিয়া গর্গ লইল সংসারী।
বিরাগী হইয়া নাহি ছাড়ি গেল বাড়ী॥
হইল পাষাণ গর্গ নাহি আর দয়া।
করিবে তর্পণ কঙ্কের রক্ত দিয়া॥”
বিরলে বসিয়া কঙ্ক ভাবে মনে মন।
যাইবে সেই দেশে যথা নাহি মানুষ-জন॥
কেউ নাহি পাইবে খুঁজ কিবা নামধাম।
এমন সময়ে হায় হৈল কোন কাম॥
দৌড়িয়া আসিয়া লীলা সুধায় কঙ্কেরে।
আউল মাথার কেশ বাক্য নাহি সরে॥
“আমার বচন লহ শীঘ্রগতি আস।
আশ্রমে ঘটিল আজি কিবা সর্ব্বনাশ॥
সুরভি ভূমেতে পড়ি হইল অচেতন।
বুঝি তারে কালসাপে করিল দংশন॥
কাল-গরল-বিষে সুরভি ঢলিল।
আজি হইতে আমাদের কপাল ভাঙ্গিল॥
বিচারিয়া[৩] আন তুমি ওঝা একজন।
সুরভির কাছে আমি যাই ততক্ষণ॥”