দৌড়াদৌড়ি করি কঙ্ক-লীলা ছুটে যায়।
ছটফট করে ধেনু বিষের জ্বালায়॥
মনে মনে ভাবে কঙ্ক কি হইল হায়।
কালেতে খাইল যারে কি করে ওঝায়॥
লীলায় ডাকিয়া কঙ্ক ত্বরিতে শুধায়।
“বিষ-মাখ। ভাত কোথা রাখিল লীলায়॥”
বেতের ডোগার[১] মত কাঁপিয়া কাঁপিয়া।
আঙ্গুলি নির্দ্দেশে লীলা দিল দেখাইয়া॥
কঙ্ক বলে “লীলা দেবী, হৈল সর্ব্বনাশ।
কিবা ক্ষতি যদি মোর হৈত প্রাণনাশ॥
দেবতা মোদের প্রতি বিরূপ হইল।
ঠাকুর বাড়ীতে হায় গোহত্যা হইল॥”
দেখিতে দেখিতে ধেনু সুরভি মরিল।
আকুল হইয়া লীলা কান্দিতে লাগিল॥
পরেত চলিয়া লীলা গেলা রসুই ঘরে।
অঞ্চল পাতিয়া শুয়ে ছুঁয়ের উপরে॥
কপালের দোষে যেমন রামের বনবাস।
দামোদর দাসে ভনে হৈল সর্বনাশ॥
আড়াই প্রহর রাত্রি কঙ্ক কি কাম করিল।
নিম্ব বৃক্ষ তলে যাইয়া শুইয়া নিদ্রা গেল॥
ঘুমে নাহি ঢুলে আখি উঠ বৈসি করে।
বিষম চিন্তার কীট পশিল অন্তরে॥
ক্ষণে ক্ষণে তন্দ্রামগ্ন হেরিল স্বপন।
বড়ই আশ্চর্য্য কথা শুন সভাজন॥
- ↑ ডোগা=ডগা, অগ্নভাগ।