পোষমানা পাখীগণে লীলা কান্দিয়া সুধায়।
“তোমরা নি দেইখাছ কঙ্ক গিয়াছে কোথায়॥”
উড়িয়া ভমর বইসে মালতী-বকুলে।
তাহারে জিজ্ঞাসে কন্যা ভাসি আখিজলে॥
বস্ত্র না সম্বরে লীলা নাহি বান্ধে চুল।
আজি হইতে আশা-ভরসা সকলি নির্ম্মূল॥
আজি হইতে গেলরে কঙ্ক সন্ন্যাসী হইয়া।
অভাগিনী লীলার না বুকে শেল দিয়া॥
যাইবার কালেতে আমায় নাহি দিলা দেখা।
এহি ছিল অভাগী লীলার কপালের লেখা॥
(১৫)
গর্গের ধন্না দেওয়া ও দৈববাণী
গর্গের হৈল কিবা শুণ বিবরণ।
চৌদিকে পাগলপ্রায় করিল ভ্রমণ॥
সারারাতি অনিদ্রায় ফিরি ঘুরে ঘুরে।
প্রভাতে ফিবিল গর্গ আপনার ঘরে॥
আসিতে পথের মাঝে অমঙ্গল নানা।
চারিদিকে যেন প্রেত-পিশাচের থানা॥
কাক সাচান[১] করে দিবসেতে রা।
ডাক শুনি মুনিব কাপিল সর্ব্ব গা॥
পথ কাটি শিবা ধায় না চায় ফিবিয়া।
ঝটিতে চলিল মুনি আশ্রমে ধাইয়া॥
চারিদিক শূন্যময় শুধু হাহাকার।
এত বেলা হলো কেহ না খোলে দুয়ার॥
মালতী-মল্লিকা পড়ে ঝরিয়া ভূতলে।
ভ্রমরা উড়িয়া যায় নাহি বসে ফুলে॥
- ↑ সাচান=চিলজাতীয় পক্ষী-বিশেষ।