নাহি খায় পুষ্প-মধু না দেয় ঝঙ্কার।
বিপদ ভাবিয়া মুনি দেখে অন্ধকার॥
দেবালয়ে নাহি বাজে ভোরের আরতি।
কাল বুঝি পূজা-গৃহে না জ্বলিল বাতি॥
পুষনিয়া[১] পাখী যত নীরব খাচায়।
নাহি ডাকে কঙ্কে তারা না ডাকে লীলায়॥
প্রভাতে আসিয়া গর্গ আশ্রমে প্রবেশে।
নয়নেতে নিদ্রা নাই পাগলিয়া বেশে॥
আশ্রমে পশিয়া গর্গ দেখিলা তখন।
কালবিষে সুরভি যে তাজিছে জীবন॥
হাম্বারবে মা মা বলি ডাকিছে পাটলী[২]।
গর্গের পাষাণ প্রাণ আজি গেল গলি॥
কাতরে মায়ের কাছে হাম্বারবে ধায়।
কভু বা আসিয়া গর্গের চরণে লুটায়॥
এই মতে বহুক্ষণ কান্দিয়া পাগল-মন
গর্গ পরে হইল সুস্থির।
ঘাটেতে সিনান করি বাড়ীতে আসিয়া ফিরি
প্রবেশিলা ভিতর মন্দির॥
কপাটেতে খিল দিয়া পূজায় বসিল গিয়া
চকে বহে জল দর দর।
বলি আজ আত্মদানে দামোদর দাসে ভণে
অশ্রুধার পূজা উপচার[৩]॥
বলা-কওয়া করে লোকে এই মাত্র শুনে।
হত্যা[৪] দিয়াছেন গর্গ দেবের চরণে॥
অন্ন নাহি খায় গর্গ না খুলে দুয়ার।
ক্রমে কথা রাষ্ট্র হইল সহর-বাজার॥