পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b'8 মোছলেম জগতের ইতিহাস । করিতেছি। রুগ্ন, সুস্থ সকলকেই তাহাদের জীবন, সম্পত্তি, ধৰ্ম্ম ও ধৰ্ম্মালয় সমূহের রক্ষণের অভয়বাণী প্রদান করিতেছি। কাহারও ধৰ্ম্মালয় বিধ্বস্ত বা বাসস্থানে পরিণত হইবে না, কিম্বা উহার সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি বাজেআপ্ত করা হইবে না। ধৰ্ম্মচিহ্ন ক্রশ বা ধৰ্ম্মবিশ্বাসের উপর কোনরূপ বাধা প্রদান কিংবা অনিষ্ট সাধন আইন বিরুদ্ধ বলিয়া পরিগণিত হইবে।” পাঠক, মোছলেম খলিফার এই আদেশের সহিত স্পেনরাজ ৪র্থ ফিলিপের উক্তি মিলাইয় দেখুন, সম্রাট ফিলিপ দর্পভরে বলিতেছেন, “I will be no king rather than be the king over the heretics–Lodge’s Modern Europe “offs assil Ri of Căg ভাল, তবু ভিন্নধৰ্ম্মাবলম্বিগণের রাজা হইতে চাহি না”। এই সমাট উত্তরকালে স্পেন হইতে মূৰ্বদিগকে বিতাড়িত করেন। খলিফাগণ রাজকাৰ্য্যে খৃষ্টানদিগকে নিযুক্ত করিয়া উদারতা ও সাম্যনীতির পরিচয় দিয়াছিলেন। র্তাহাদিগের মধ্যে কেহ কেহ আদালতের সৰ্ব্বোচ্চপদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। কেহ কেহ খলিফার প্রধান মন্ত্রিত্ব পদও লাভ করিয়াছিলেন। বাণিজ্য ক্ষেত্রেও খৃষ্টানদিগকে বিশেষ অধিকার প্রদত্ত হইয়াছিল। খলিফাগণ খৃষ্ঠানদিগের গীর্জা ও মঠগুলির প্রতি যথোপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করিতেন। যে সমস্ত নগরে খৃষ্টান জাতির অত্যধিক হ্রাস ও মোছলেম জাতির অত্যধিক বৃদ্ধি হইয়াছিল, কেবল সেই সকল নগরে গীর্জাগুলি মছজেদে পরিণত হইয়াছিল। যখন খৃষ্টানগণ মোছলেম রাজত্বে ধৰ্ম্মচর্চা করিতে স্বাধীনতা প্রাপ্ত হইয়াছিল, তখন অসিযোগে ইছলাম বিস্তার করিবার কোন আবশুকই ছিল না। মধ্যযুগে খৃষ্টানদিগের মধ্যে ধৰ্ম্মস্বত্র লইয়া নানা প্রকার মতভেদ চলিতেছিল। পাদ্রিদিগের নির্য্যাতন, সাম্প্রদায়িক বিবাদ ও ধন্মের তর্ক লোকদিগের ধৰ্ম্মবিশ্বাস শিথিল করিয়া দিয়াছিল। এই অবস্থায় যখন আরব হইতে