পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । br@ সত্য ধৰ্ম্মের স্রোত চারিদিকে প্রবাহিত হইতেছিল, তখন প্রাচ্য দেশীয় খৃষ্টানগণ স্বেচ্ছায় দলে দলে নব-জীবন্ত ধৰ্ম্মের আশ্রয় গ্রহণ করিতে লাগিল । টেইলার সাহেব এই নবীন ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে কি লিখিয়াছেন, পাঠকবর্গ শুনুন, “এই নব সংস্কার কিরূপে অতি সত্বরে এশিয়া ও আফ্রিকায় বিস্তৃত হইয়াছিল, তাহা অতি সহজেই বোধগম্য। আফ্রিকা ও ছিরিয়ার পাদরীগণ ধৰ্ম্মের অতি কুটতর্ক লইয়া আন্দোলন কবিতেছিল। তাতারা চির কৌমার রত অবলম্বন করিয়া ব্যভিচারের পথ রোধ করিতে যত্নবান হইয়াছিল, সন্ন্যাসব্রত পবিত্রতার একমাত্র উপায় বলিয়া ঘোষণা করিতেছিল । লোকজন খোদাতায়ালার একত্ব পরিত্যাগ করিয়া বহুত্বের আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিল এবং সিদ্ধপুরুষ ও স্বৰ্গীয় দূতদিগকে পূজা করিতেছিল। উচ্চশ্রেণী বিলাসরত ও ভোগাসক্ত হইয়া পড়িয়াছিল। মধ্য শ্রেণী শুল্ক ও উৎকোচ প্রভৃতি দ্বারা প্রপীড়িত হইয়াছিল। ক্রীতদাস ভবিষ্যজীবনের আশা পরিত্যাগ করিয়া চির অধীনতা গ্রহণ করিয়াছিল । অন্ত পক্ষে ইছলাম কুসংস্কার উৎপাটিত করিয়া অতি সরলভাবে ধৰ্ম্মের উদেণ্ড বুঝাইতেছিল। ইছলাম থ্রোদাতায়ালার একত্ব সংস্থাপন করিয়া আত্ম নির্ভর ও আত্মাৎসর্গ শিক্ষা দিতেছিল। ইছলাম ভিক্ষুশ্রেণীর পরিবর্তে বীরপুরুষ প্রস্তুত করিতেছিল’ । ইছলাম ক্রীতদাসের প্রাণে নূতন আশার সঞ্চার করিয়াছিল। ইছলাম সমস্ত মানব জগৎকে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করিয়াছিল । পুরুষকার ইছলাম বিস্তারে সোঁকাৰ্য্য সাধন করিয়াছিল। ইছলাম সমগ্র মোছলেম সাম্রাজ্যে আরবী ভাষার প্রচলন ও সদ্ব্যবহার এবং সুনীতি শিক্ষা দ্বারা বিভিন্ন জাতিকে এক জাতিতে গঠন করিয়াছিল। আদিম মেছরবাসী জনৈক খৃষ্টান কথোপকথন ছলে এই সম্বন্ধে কি বলিয়াছেন, শুনুন“খৃষ্টধৰ্ম্মের উপদেশাবলী পরস্পর বিরোধী। - উহা জ্ঞান ও বিচারের