পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস। ミe" দান করিতেন না, তখন গ্রীকগণ পূৰ্ব্বাপেক্ষা অধিকতর মুখে জীবন যাপন করিতে লাগিল । ছোলতানের শাসনকালে খৃষ্টানগণ স্বস্ব পরিশ্রমের ফলভোগ করিতে পারিত। বাণিজ্য ব্যবসায়ের সুযোগ লাভ করিত। তপন প্রধান প্রধান নগরগুলি সমৃদ্ধ হইয়া উঠিয়াছিল । ছোলতান নূতন নুতন রাস্তা ও সেতু নিৰ্ম্মাণ করিয়া যাতায়াতের সুবিধা করিয়া দিয়াছিলেন। গ্রীকৃ সওদাগরগণ পূৰ্ব্বে যে সমস্ত বন্দরে প্রবেশলাভে অনুমতি পায় নাই, ছোলতানগণ ঐ সমূদয় বিদেশীয় বন্দরে ইহাদিগকে বাণিজ্য করিতে অনুমতি দিয়াছিলেন। যুদ্ধের প্রাক্কালে পথিমধ্যস্থ মস্তের দোকানগুলি বন্ধ করিয়া দেওয়া হইত, সৈনিকের নিকট মদ্য বিক্রয় একেবারে নিষিদ্ধ ছিল । স্ত্রীলোকদিগের উপর অত্যাচার বা দেশমুণ্ঠনের বিপক্ষে নিষেধাজ্ঞা প্রচার করা হইত। আলেকজাণ্ডার রস নিম্নলিখিত প্রশংসা বাক্য লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন, “খৃষ্টানগণ মনোযোগের সহিত মোছলেম ইতিহাস ও আইন কানুন আলোচনা করিলে বুঝিতে পারিবে যে, তাহার:ধর্শ্বকার্ঘ্যে ও দানশীলতায় কতদূর অগ্রসর ; তাহারা কত পরিষ্কৃত পরিচ্ছন্ন ; মছজিদ ও গৃহ তাহাদের নিকট কত পবিত্র, কত সন্মানের বস্তু ; তাহারা যেখানে যে অবস্থায়ই থাকুক, দিবসে পাঁচবার নির্দিষ্ট নামাজ আদায় করিতে যত্নবান, তাহারা পবিত্রভাবে সুৰ্য্যোদয় হইতে স্বৰ্য্যাস্ত পৰ্য্যন্ত ক্রমাগত এক মাস কাল রোজ রাখিতে কতদূর তৎপর! তাহারা অন্তান্ত মানবের প্রতি কত দয়ালু ও দানশীল! তাহার হাসপাতালের নিঃসহায় রোগী ও পরিব্রাজকদিগের চিকিৎসার জন্য কতদূর যত্নশীল । “মোছলেমগণ সদ্বিচার, মিতাচার ও অন্তান্ত গুণালঙ্কৃত ছিল, বস্তুতই তাহাদের সহিত তুলনায় আমরা স্বীয় অবিচার, উৎপীড়ন ও অমিতাচারের জন্ত নিতান্তই লজ্জিত। এই সমস্ত লোক নিশ্চয় শেষ বিচারের দিন উত্থিত