পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミゲ মোছলেম জগতের ইতিহাস অন্ধকারে আমি দেখিতে পাই নাই’ । লোকটা হজরত ওমরকে চিনিতে পারিয়া বিশেষ দুঃখ প্রকাশ করিতে লাগিল। তাহাতে হজরত ওমর বলিলেন, “তুমি ঠিক বলিয়াছ, অপরাধ আমারই” । * * * * আর একদিন হজরত ওমর ছিরিয়া ভ্রমণে বহির্গত হইয়া ছিলেন, তাহার আহারের জন্য একটি কাষ্ঠ পাত্রে যৎকিঞ্চিৎ যবের ছাতু, ভ্রমণের জন্য একটা মাত্র উষ্ট্র ও সঙ্গে মাত্র একজন গোলাম দেওয়া হইয়ছিল। কখন তিনি উন্থ পৃষ্টে চড়িতেন, গোলাম লাগাম ধরিত ; আবার, কখন বা গোলাম উষ্ট্রারোহণ করিত, তিনি রজ্জ্ব, ধরিয়া অগ্রসর হইতেন। পথিমধ্যে যেখানেই তিনি কৰ্ম্মচারিগণের বিরুদ্ধে অন্যায় কঠোরতার অভিযোগ শুনিতে পাইতেন, সেখানেই তিনি তাঙ্গার প্রতিকার করিয়া অগ্রসর হইতেন । গন্তব্যস্থানে উপস্থিত হইলে মোছলেম সৈন্ত্যগণ “আল্লাহু আকবর’ রবে তাহাকে সংবৰ্দ্ধনা করিতে আসিয়াছিল। তাহারা আমিরুল মোমেনিনকে ঈদৃশী অবস্থায় দেখিয়া একটা সুন্দর অশ্বে আরোহণ ও একটা সুন্দর পোষাক পরিতে বাধা করিয়া তাঙ্গকে খৃষ্টানদিগের সহিত সাক্ষাৎ করিতে লইয়া চলিল। কিয়দূর অগ্রসর হইয়া তিনি অর্থ হইতে অবতরণ করিয়া বলিলেন, “আমার গ্রন্থিযুক্ত পোষাক আন, কারণ এই পোষাক পরিয়া আমার মধ্যে গৰ্ব্ব আসিয়াছে . রচুলে মক্‌বুল হইতে আমি শুনিয়াছি, যাহার অন্তরে বিন্দুমাত্র অহঙ্কার আছে, সে বেহেস্তের সুগন্ধের স্ত্ৰাণ পাইতেও সমর্থ হইবে না।” খলিকা ওমুর এই নিয়ম গুচারিত করিয়া ছিলেন যে, কোন আরবকে যুদ্ধে পরাজিত বা অর্থদ্বারা খরিদ করিয়া কেহ দাসত্বে পরিণত করিতে পারবে না, পিতা পুত্রকে অথবা উত্তমণ অধমণকে রোমক গণের ন্যায় বিক্রয় 'করিতে পারবে না”। মধ্যযুগে সহস্ৰ সহস্ৰ ৰুশ্বত ও কৃষ্ণাঙ্গ দাস প্রতি বুৎসর মোছলেম সাম্রাজ্যে আমদানী হইত। মধ্য এশিয়া, তুৰ্কীস্থান ও ফরগণ প্রভৃতি