পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস ૨૪ স্থান হইতে বহুসংখ্যক তুর্কীদাস প্রতি বৎসর বাগদাদের বাজারে আনীত হইত এবং ধনী লোকেরা উহাদিগকে ক্রয় করিত। আফ্রিকার মধ্যবর্তী সুদান হইতেও বহু দাস আনীত হইত। পারস্য ও গ্রীক রাজত্ব হইতেও বহু শ্বেতাঙ্গ দাস আসিত। স্পেন ও ইতালিতেও দাসত্ব প্রথার বিশেষ প্রচলন ছিল। রোমে দাসত্ব প্রথা অষ্টম শতাব্দীর পূর্ব পর্যন্ত বর্তমান ছিল। সুতরাং কেবল মাত্র আরবে নহে, সমগ্র প্রাচ্য ও প্রতীচ্যেই মধ্যযুগে দাসত্ব প্রথার বিশেয প্রচলন ছিল । ইছলাম দাসত্ব হইতে মুক্তিদানকে সৎকাৰ্য্য বলিয়া মনে করে এবং পরলোকে ইহার পুরস্কার আছে বলিয়া বিশ্বাস করে। যে ইহজগতে কোন মোছলেম দাসকে মুক্তি দিবে, সে পরজগতে নরকাগ্নি হইতে মুক্তি পাইবে, ইতাই অর্ণ হজরতের আদেশ ছিল। পবিত্র কোরআন বলিতেছে, “থোদাকে সম্মান কর. . . . . . . . . এবং এমন কি তোমার দাসের প্রতিও সদয় হও”। অর্ণ হজরত বলিতেন, “তুমি যাঙ্গ খাও, তোমার মামলুকদিগকে তাঙ্গই খাইতে দিবে এবং তুমি যাহা পরিধান কর, উহাদিগকে তাহাই পরিধান করিতে দিবে এবং তাহারা যে কাজ করিতে অসমর্থ, তাহাদিগকে তাঙ্গ করিতে আদেশ দিবে না”। झ्छब्रड बाजी (রাঃ) সম্বন্ধেও অনেক আশ্চৰ্য্য ঘটনা লিপিবদ্ধ আছে। র্তাহার রাজত্ব কালে তিনি একটী য়িহুদীর নিকট হইতে একটী বৰ্ম্ম ক্রয় করিয়া তাহার মূল দিয়াছিলেন, কিন্তু য়িহুদী তাহাকে পরীক্ষার জন্য আদালতে র্তাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ করিল' কাজী তদানীন্তন মোহাম্মদীয় আইন অনুসারে খলিফাকে সমন দিলেন। হজরত আলী (রাঃ) আদালতে উপস্থিত হইয়া জানিতে পারিলেন যে, তাহার বিরুদ্ধে জনৈক য়িহুদী অভি. যোগ করিয়াছে। হজরত আলী (রাঃ) বলিলেন, তিনি ইহার মূল্য পূৰ্ব্বেই দিয়াছেন।" কাজী উত্তর করিলেন, আপনি ইহা প্রমাণ করিতে বাধ্য,