পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস \מס কৱিতেন। তত্ত্বাবধায়কের পদ অতি সন্মানের ছিল। তাহাকে আমীর-উল-হজ্জ বলা হইত। 蠟 . খলিফাগণের শাসনকাৰ্য্য কয়েকজন বয়োবৃদ্ধ দ্বারা গঠিত সমিতি কর্তৃক নিৰ্ব্বাহিত হইত। অর্ণ হজরতের জীবন কালে র্যাহারা তাঙ্গার সঙ্গী ছিলেন, তাহাদিগেরই মধ্য হইতে বিশিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিকে এই সমিতির জন্য মনোনীত করা হইত। সুবের গণ মান্ত ব্যক্তি ও বেদুঈনদিগের সর্দারগণ এই সমিতিকে সাহায্য করিতেন । প্রধান মছজেদ মধ্যেই সমিতির অধিবেশন হইত। বিশেষ বিশেষ সদস্যের উপর বিশেষ বিশেষ কাৰ্য্যভার অর্পিত ছিল। হজরত আবুবকরের খেলাফত কালে হজরত ওমর বিচার বিভাগের ভার গ্রহণ করিয়া ছিলেন। দরিদ্রদিগের দেয় কর আদায় তাহারই কর্তৃত্বাধীন ছিল । হজরত আলীর উপর পত্র-বিনিময়ের ভার অর্পিত ছিল । কয়েদীদিগের পরিদর্শন ভারও তাঁহারই উপর ন্যস্ত ছিল। সমিতি ব্যতীত । কোন বিসম্বাদিত বিষয়ের মীমাংসাষ্ট্র সংঘটিত হইতে পাবিত না। রাজস্ব খলিফাদিগের ভোগ্য ছিল না। উহা কেবল প্রজাবর্গের জন্তই ব্যয়িত হইত। ধনীদিগের নিকট হইতে কর আদায় করিয়া তন্দ্বারা দরিদ্রদিগের সাহায্য কর ইত। দান প্রণালী আইন মধ্যে লিপিবদ্ধ ছিল। বাদশাহের কোষাগারে ধন সঞ্চিত থাকিত না ; সুতরাং উহা রক্ষণের জন্ত কোন হিসাব-রক্ষকের বা প্রহরীর প্রয়োজন হইত না । রাজস্ব আসিব মাত্র বণ্টন করিয়া, দেওয়া হইত। প্রধানু প্রধান সহর ও প্রদেশের জন্ত শাসক বা আমীর নিযুক্ত হইতেন হজরত ওমর শাসন প্রণালী প্রণয়নে প্রধান উদ্যোক্ত ছিলেন। তিনি সমস্ত অধিকৃত দেশগুলিকে কয়েকটি অংশে বিভক্ত করিয়া প্রত্যেকটাকে এক একজন আমীরের হস্তে অর্পণ করিয়া ছিলেন, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিভাগের শাসনভার ওলি বা নায়েবের হস্তে ন্তস্ত ছিল। আমীর বা গুলিগণ শুক্রবার নামাজের ইমামতী (নায়কত্ব),করিতেন এবং.