পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহনের জামানী অভিযান ՏՀՏ আপেঙ্গনের পর আবেদন পাঠাইয়া মোহনের সকল শান্তি ধ্বংস করিবার উপক্রম çfar i মো অনেক চিন্তা করিল। পরিশেষে মোহনের নামে যে সব আবেদন, দরখাস্ত পদ গাসিতেছিল, তাহা সেক্রেটারীকে অনুরোধ করিয়া মোহনের নিকট পাঠানো নগা করিল। কিন্তু তাহার জন্য কিছুদিন মোহনের মানসিক অবস্থার উন্নতি দেখা গল বটে, কিন্তু কিছুদিন পরেই আবার তাহার মন ভাঙ্গিয়া পড়িল । সে প্রচুর অথ’ ষ্টপাঞ্জনের জন্য কঠোর ভাবে পরিশ্রম করিতে লাগিল। কিন্তু যেখানে সমুদ্রের *া, সেখানে শিশির বিন্দুতে কি কাজ করিবে ? ফলে মোহনের মানসিক অবস্থা e trহিক দেীব'ল্যের লক্ষণ পরিসফট হইয়া উঠিল । মোর সকল সুখ-শাস্তি চিরতরে লয় পাইবার উপক্ৰম হইল। রমা অনেক wMল, মোহনের নিকটে অনেক অনাযোগ জানাইল, মোহন আদর করিয়া হাসিয়া, wile lর সকল অভিযোগ উড়াইয়া দিল । রমা শেষে কহিল, "চল, আমরা কলকাতা 't৩ কোন স্বাস্থ্যকর স্থানে কিছুদিন বাস করে আসি।” মোহন মদে হাসিয়া কহিল, "অনেক অপব্যয় তা'তে হবে, রানী । সেই টাকায় *tাকজন দরিদ্র দু’বেলা দ'মঠো পেট ভরে খেয়ে বে'চে থাকবার অবলম্বন পাবে।” মো অভিমান ভরে কহিয়াছিল, “তোমার সবাস্থ্যের চেয়েও তাদের ক্ষুধা বড়ো " ণোহন মদে হাসিয়া বলিয়াছিল, "আমার স্বাস্থ্যের তো কোন ব্যতিক্রম হয় নি, aw । তুমি যে চোখে আমাকে দেখ, আমার ভয় হয়, যদি কোন দিন সত্য সত্যই খ৷র বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে, তবে তোমাকে শাস্ত রাখব আমি কোন উপায়ে ?” এম মুখ ভার করিয়া বসিয়াছিল ; তাহাকে মোহন আদর করিয়া বলিয়াছিল, "AI" বলো তুমি, কোথায় নিয়ে যেতে চাও আমাকে ?” রমা বলিয়াছিল, “চল, আমরা দিল্লীতে যাই ।” মোহন বিদিত হইয়া বলিয়াছিল, “দিল্লী কেন, রানী ? দিল্লীতে তো আমাদের :েই। তার চেয়ে পরাঁ যাই চল । সেখানে বাড়ী আছে, তাঁর খরচও ç ÇA !” Go -() মাকে যে কখনও স্বামীর মথে এরপ অভাবের, দভূ অভিব্যক্তি শুনিতে 1, তাহা সে সবপ্নেও কোনদিন ভাবে নাই । & এখায় দিল্লী যাইবার একান্ত আগ্রহ দেখিয়া, অবশেষে মোহন বলিয়াছিল, “তাই ", 3ানী । তোমার ইচ্ছাই পণ হোক। সত্যই আমার কিছর ভাল লাগছে এখা ে দিনকতক ঘরে এলে যদি তোমাকে আবার পরবের মত মনে-প্রাণে • করতে পারি, তা হবে আমার পরম লাভ।” 1ের পর রমা ও মোহন দিল্লীতে আসিয়া কিছুদিন হইল রাইসানাতে বাড়ী mরিয়া বাস করিতেছে । কলিকাতার কোলাহল হইতে এবং সব কম হইতে পাইয়া মোহনের মন সাময়িক শাস্তিতে পাণ’ হইয়া, রমার মনে আনন্দ বধ’ন