পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২২ মোহন অমনিবাস সেদিন অপরাহ্নে মোহন ড্রইংরমে বসিয়া রমার সহিত গল্প করিতেছিল । সেই সময়টা তাহার ভ্রমণ করিয়া অতিবাহিত করিত। কিন্তু সেদিন সারা আকাশ মেখে মেঘে আচ্ছন্ন হইয়া অন্ধকার করিয়া তুলিয়াছিল বলিয়া, তাহারা ভ্রমণ স্থগিত রাখিতে বাধ্য হইয়াছিল । এমন সময়ে বিলাস দ্বারদেশে দেখা দিয়া কহিল, “বেকার সাহেব, কতf ।” মোহন ও রমা যুগপৎ বিক্ষিমত হইয়া চীৎকার করিয়া কহিল, "কে মিঃ বেকার } বিলাস কহিল, “ঐ যে তিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন।” মোহন দ্রুতবেগে বাহির হইয়া, সম্মুখে মিঃ বেকারকে হাসিমুখে দাঁড়া থাকিতে দেখিল এবং দুই হাত বাড়াইয়া সাগ্রহে মিঃ বেকারের দুই হাত চাপিয়া ধরিয়া কহিল, “উঃ ! এত বড়ো বিসময়, এত বিরাট আনন্দ আমি জীবনে খাব ভোগ করেছি, বেকার । এস, এস, গরীবের ভাড়া-কুটিরে পায়ের ধলো কৃতাৰ্থ কর।” মিঃ বেকার এরপে অত্যধিক বিরাট অভ্যর্থনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না । তি পরম বিক্সিাত ও আনন্দিত হইয়া কহিলেন, “তুমি ভাল আছ, মোহন ? মিে গুপ্তা ভাল আছেন ?” “সব ভাল বন্ধু, সব ভাল। মিসেস গুপ্তা এখানেই আছেন, এস, ভেতরে এস।” এই বলিয়া মোহন মিঃ বেকারকে লইয়া ড্রইংরমে প্রবেশ করিল। রমা হাসিমুখে উঠিয়া দাঁড়াইয়া মাননীয় অতিথিকে সাদর-সম্ভাষণ জানাইল । কহিল, "সত্য বলছি, মিঃ বেকার, এখানে আমরা আপনাকে প্রত্যাশা করি নি ।” মিঃ বেকার উপবেশন করিয়া কহিলেন, “আমি কলকাতা হতে যাত্রা করবার পাবে আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম । সেখানে দায়োয়ানের মুখে শনলাম, আপনারা দিল্লীতে আছেন । তারপর মোহনের সেক্রেটারীর কাছ থেকে ঠিকানা জেনে নিয়ে এখানে আসি।” মোহন সহাস্যে কহিল, “রমা, আমি চিরদিনই বলে আসছি যে, মিঃ বেকারের মত আমার অকৃত্রিম স্বহং পথিবীতে আর দ্বিতীয় নেই। যখন শয়তা করেছে, তখন ওর মত শত্রও আমার কেউ ছিল না। তুমি মাননীয় অতিথিকে একটু মিটি-মল্লখ করিয়ে দাও রমা। কত দিন পরে দেখা, যেন কৃত যুগ বলে মনে হচ্ছে।" মিঃ বেকার লঙ্গিজত কণ্ঠে কহিলেন, "আঃ মোহন, ੇ থামো ।” | “থামবো ? কিন্তু আমার মনের মধ্যে যে আলোড়ন উঠেছে, তা’কে শাস্ত রাখি । আর কোন দ্বিতীয় উপায়ে, বন্ধ ? ছিলাম দুধর্ষ", পলিশ-ত্রাস, গভর্ণমেণ্টের দশিচস্তার স্থল, ধনীর দুঃস্বপ্ন—এক নিম’ম, নিদায় দস্থ্য । তোমার সংস্পশে এসে কি হলাম শনবে ? হলাম এক অতি নিরীহ, নিরামিষাশী সুসভ্য নাগরিক। তার অতীতের অসংখ্য বন্ধ বান্ধব দিনে দিনে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যাচ্ছে ! যে সব অনাথ, দরিদ্রের অন্ন উপাজ’নের যন্ত্র ছিলাম, তারা অনেকে ভাবছে, হয়তো যন্ত্র বিকল হয়ে গেছে । আবার অনেকে ভাবছে, শধে ভাবছে নয়, রীতিমত দরখাস্ত পেশ ক’রে জানাচেছ, আমি তাদের প্রাপ্যে ল’ণ্ডত ক’রে নিজে ধনবান হবার চেষটা করছি ।