Ֆծ মোহন অমনিবাস
- মোহন কহিল, "হাঁ ।”
ইহার পর মোহন শ্যামাপদ প্রদত্ত পত্ৰখানি খাম হইতে বাহির করিয়া পাঠ করিতে লাগিল। কুমারী দীপালী লিখিয়াছে ঃ- ৰে পরম পঞ্জনীয়, দাদা। আপনি যে হতভাগিনীর পত্র পেয়েছেন এবং অবিলম্বে আমার উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করেছেন দেখে, আমার আবার বাঁচতে সাধ হচেছ ! আমি ঘাঁচবার আশা ৩্যাগ করেছিলাম কিনা ! আমার সৌভাগ্যের আর অস্ত নেই । যিনি ৭ে৭৩ারও বড়ো, যাঁর দশন পাওয়া এতদিন কা’রও পক্ষে সম্ভব ছিল না তাঁকে প্রাণ ভ"রে ডাকতে না ডাকতেই দেখতে পেলাম, এর চেয়ে বড় সৌভাগ্যের বিষয় আর কি হতে পারে ? গতকল্য আপনি যখন আমার অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন আমি শ্যামাপদর নামে অভিযোগ জানাবার জন্য তাঁর কাছে যাচ্ছিলাম। সহসা অপরিচিত কন্ঠস্বর শুনে থমকে দাঁড়াই । অলপ সময় পরেই বুঝি, দেবতা সদয় হয়ে বর দিতে এসেছে অভাগীকে । আমার ভাই নেই, বাপও নেই। আপনি আমার উভয়ই । আপনি আমার প্ৰণাম গ্রহণ করন । গতকল্য হ'তে আমার অভিভাবক অত্যন্ত চিন্তিত হ’য়ে উঠেছেন । তাঁকে চিণ্ডিত দেখলেই আমার ভয় হয় ; কারণ যখনই তিনি গভীর ভাবে চিন্তা করেন. তখনই কোন না কোন বদ মতলব স্থির করেন । এবারেও কি করছেন, ঈশ্বর জানেন । i শনলাম, আগামী কল্য আপনি আসবেন। কিন্তু আমার ভয় হয়, করালীবাব, আপনার প্রস্তাবে সম্মত হবেন না । উপরন্তু কিছু না বিপর্যয় ঘটান, এই ভয়ে আমি অস্থির হয়ে পড়েছি । আমি আমারই প্রাসাদে নিঃসঙ্গ, একাকী । কয়েকটি বাধা পরিচারিকা ভিন্ন আমার সাথী কেউ নেই। করালীবাব আমার একজন গঙনেস দেবেন বলে বহুদিন থেকে স্বীকৃত হয়ে আছেন, কারণ উইলের শতও নাকি তাই ; কিন্তু তাঁর মনের মত সব সময়ের জন্য কোন ভদ্র শিক্ষিতা মহিলা পাখেন না বলেই আমার অভাব পণ হচ্ছে না। আপুনিসক কোন বিশ্বাসী ভ4 মহিলাকে পাঠাতে পারেন না ? তাঁর পরিচয় ভদ্র হলে আর কোন কিছুতেই আ8কালে না । আমি আগামী কালের দিনটির জন্য সাগ্রহে প্রতীক্ষা করে আছি । আজও শ্যামাপদর হাতে পাখানি ডাকে দিতে পাঠালাম। জানি না, এটির অদটে কি আছে। পরম পঞ্জনীয়া রমা দিদিকে আমার ভক্তিপণ প্রণাম জানাবেন, আপনি আমার অসংখ স4% প্ৰণাম গ্রহণ করবেন । ইতি— আপনার ছোট বোন হতভাগিনী দীপালী মোহন পাখানির পাঠ শেষ করিয়া মুখ তুলিয়া দেখিল, শ্যামাপদ সাগ্রহে ৩৷হায় শখের দিকে চাহিয়া আছে। মোহন কহিল, “কিছু বলবে, শ্যামাপদ ”
