পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহনের অজ্ঞাতবাস ২৩৩ wি nইল, কেন হইল, বুঝিতে পারিবার পবেই একটি গম্ভীর স্বর অন্ধকারের eিnর শনিতে পাওয়া গেল । কে যেন বলিতেছে, “সকলে যে যার আসনে বসে খাদ.. 'র দ্রবিষাণ’ কথা বলছে।” 'রদবিষাণের নাম শুনিয়া সমবেত নর-নারীগণ ভয়ে আতনাদ করিয়া 6htলন । বিশেষ করিয়া মহিলাগণ এরপ চীৎকার করিতে লাগিলেন যে, আহার**ট এক ভয়াবহ পরিস্থিতে ভরিযা গেল। এমন সময়ে সহসা পনেশচ আলো র,গয়া উঠিল । সকলে বিমুঢ় দাঁটিতে চাহিতে দেখিল, স্যার মহাপাত্র চেয়ার হইতে মেকের উপর লটাইয়া পড়িয়াছেন, তাঁহার মস্তক হইতে রক্তস্রোত বাহির হইতেছে । প্রফেসার বসু তৎক্ষণাৎ চীৎকার করিয়া ভূত্যদের আদেশ দিলেন, “দ্বার বন্ধ করো, কেউ যেন না বাইরে যেতে পারেন।” সঙ্গে সঙ্গে বাড়ীর সদর ফটক সশখেদ বন্ধ হইয়া গেল । কুমারী তা হী তাহার প্রিয়তম অভিভাবকের অবস্থা দেখিয়া, অতি স্বরে Mংকার করিয়া, স্যার মহাপাত্রের মুখের উপর নত হইয়া কাঁদিতে কাঁদিতে কহিল, "nাকাবাব; কাকাবাব আমার ! কে আপনাকে আঘাত করলে ?” মঃ পাইন স্যার মহাপাত্রকে পরীক্ষা করিতেছিলেন ; প্রফেসার কহিলেন, “ভয় tণ,ৈ স্যার মহাপাত্ৰ মছি"ত হয়েছেন, এখনি জ্ঞান ফিরে আসবে ” এই বলিয়া *াষ্টন ও তিনি স্যার মহাপাত্রকে ধরিয়া মেঝের উপর সোজা করিয়া শয়ন করাইয়া htলন এবং মস্তকের আঘাত-স্থানে একটা সামায়িক ব্যান্ডেজ বাঁধিয়া, তা তাঁকে ভাগারের জন্য টেলিফোন করিতে বলিলেন । ৩াপতী ছুটিল । ডাক্তার আসিয়া পৌছাইবার পবেই স্যার মহাপাত্রের জ্ঞান ফিরিয়া আসিয়াছিল ; তিনি চারিদিকে সভয়ে দটিপাত করিতে করিতে ভয়াত স্বরে কহিলেন, "দ্রবিষাণ, রুদ্রবিষাণ আমাকে হত্যা করতে এসেছিল। প্রফেসার, প্রফেসার কোথায় ?” శసి “এই ষে আমি।” বলিয়া প্রফেসার বস, স্যার মহাপাত্রের সম্বর্থে উপস্থিত ৰইলেন। তিনি কহিলেন, “আপনি কিছমাত্র উদ্বিগ্ন হবেন না, আমি প্রত্যেকটি লোককে ইতিমধ্যে পরীক্ষা করেছি এবং তাঁদের প্রত্যেককে যাঁর যার নিজের বাড়ী পাঠিয়ে দিয়েছি। শধ্যে মচ্ছিগড়ের রাজাকে পাওয়া যাচ্ছে না।” স্যার মহাপাত্রের মুখে শঙ্কার চিহ্ন ফুটিয়া উঠিল । তিনি বলিলেন, "তবে কি "বিষাণ’ তাঁকে চুরি করে নিয়ে গেছে ?" প্রফেসার বসার মাথে রহস্যময় হাসি ফুটিয়া উঠিল ; তিনি একবার সহকারী fut পাইনের মুখের দিকে চাহিয়া কহিলেন, "হ"। নাবালক রাজা সাহেব শেষে অপহৃত হ’লেন দেখছি ।” কুমারী তাপতী অসপটি স্বরে কহিল, “কৈ, ডাঞ্জার-সাহেব এখনও এসে পৌছলেন দা-যে ! আবার টেলিফোন করব না কি ?”