পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহনের অজ্ঞাতবাস ՀԳՅ দেখিলেন, প্রফেসার বসুর অফিস-কক্ষ একেবারে নিশ্চিহ্ন হইয়া গিয়াছে। শুনিলেন লে, দস্য টাইম বােব রাখিয়া গিয়াছিল এবং যে-সময়ে প্রফেসার তাপ্তী দেবীর সহিত হোটেলে ব্রেকফাস্ট খাইতেছিলেন, সম্ভবতঃ সেই সময়ে বোমা বিদীণ হয় । অফিস*ক্ষ বন্ধ থাকায় কোন প্রাণহানি ঘটে নাই । মিঃ পাইন আপন অফিস-কক্ষে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন, প্রফেসার বসু ডাঃ পালিতের টাইপিস্ট বাণীকে জেরা করিতেছিলেন । তিনি কোন কথা না বলিয়া একটি চেয়ারে উপবেশন করিলেন ও শনিতে লাগিলেন। প্রফসার বসু বলিতেছিলুেন, “এখন লক্ষসী মেয়ের মত বল-তো বাণী, স্যার মহাপাল কোথায় বন্দী আছেন ?” বাণী দেবী বিরক্ত কণ্ঠে কহিল, "তা" আমি কি জানি ? আমি তার ঘরের গিন্নী নই যে, তা’র খবর রাখব।” প্রফেসার হাসিতে হাদিতে কহিলেন, “বটে। তুমিও দেখছি বেহারীর খেলা শর করেছ ? “রুদ্রবিষাণের ভয়ে তোমরা দু’জনে সমান কাতর দেখছি । ভাল কথা, স্যার মহাপাত্রের সংবাদ না রাখো তবে ‘র দ্রবিষাণ’ ব্যক্তিটা কে, তা" তুমি নিশ্চয়ই জান ?” বাণী এক মহত চিন্তা করিয়া কহিল, হাঁ, আমি জানি । কিন্তু আপনাকে আমি কিছুতেই বলব না।” প্রফেসার বস রহস্যময় সবরে কহিলেন, "ফাঁসি-কাঠে ঝোলা বড় মনোরম বস্তু নয়, বাণী । আমি চারজনকে ঝুলতে দেখেছি, কিন্তু প্রত্যেকবারেই যে দশ্য দেখতে হ’যেছে, তা’ আর তোমার শুনে কাজ নেই। শেষের ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে গিয়ে দড়িতে ঝুলিয়ে দিতে হয়েছিল। আশা করি, এখন তুমি বলতে অস্বীকার করবে না, রুদ্রবিষাণ' লোকটা কে " “হ্যাঁ, আমি অস্বীকার করছি । কারণ যদিই আমি বলি তা হলেই-বা তা’র আপনি কি করতে পারেন ? তাছাড়া আমি রত্নবিষাণের আদেশ অমান্য করতে পারি না। কারণ তা হলে তার হাতে মৃত্যু থেকে আমাকে রক্ষা করবার আপনাদেরও সাধ্য নেই। সুতরাং আমি বলবে না।” বাণী দেবী দৃঢ় সবরে অস্বীকৃতি জানাইল । ఫ్రో *メ প্রফেসার বস, মদ হাসিয়া কহিলেন, “কিন্তু আমি যদি জেনে থাকি, তা’ হ'লে বাণী ?” এই বলিয়া প্রফেসার বাণী দেবীর কানের নিকট মুখ লইয়া নিম্ন Pবরে একটি নাম উচ্চারণ করিলেন এবং তাহা শনিবামাত্র বাণী এরপ ভীষণভাবে চমকিত হইয়া উঠিল যে, তাহা মিঃ পাইনেরও দটি এড়াইল না। প্রফেসর বস পুনরায় কহিলেন, “তোমার বলবার প্রয়োজন নেই যে, আমি ঠিক বলেছি । কে আমার চেয়ে বেশী জানে r আচ্ছা এটা অসাধারণ ব্যাপার নয় কী যে, একই ব্যক্তি দ’ রকম জীবন-যাপন করছে ? যাই হোক, তুমি যে তা’র নাম বলো নি, ভালই করেছ ; কারণ, তা’ হ’লে তোমার মৃত্যু-বরণ কেউ রোধ করতে পারত না। এখন লক্ষী মেয়ের মত কিছুদিন জেলে বাস করগে। নইলে তোমার মৃত্যু অবধারিত,