૨૧ છ মোহন অমনিবাস বাণী । কেমন, রাজী আছ ?” বাণীর মুখ শুকাইয়া গেল। সে অসফট কণ্ঠে কহিল, “রদ্রবিষাণের হাত। থেকে কে রক্ষা করবে ? তা'র চেয়ে • • • ••-” “সেলে পুলিস-হেফাজতে থাকাই ভাল ।” প্রফেসার হাসিয়া একটি ইলেকট্রিক বোতাম টিপিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে একজন সাজে*"ট প্রবেশ করিলে, তিনি কহিলেন, “এই মহিলাকে মহিলাদের ওয়াডে নিয়ে যাও। আমি যথারীতি আদেশ পাঠিয়ে চিছ ।” বাণী দ্বিতীয় বাক্য না বলিয়া সাজেটের সহিত বাহির হইয়া গেল । মিঃ পাইন আর ধৈর্য ধারণ করিতে না পারিয়া কহিলেন, “রুদ্রবিষাণ" কে। প্রফেসার ?” প্রফেসার বসন ক্ষণকাল স্থির দটিতে মিঃ পাইনের মুখের দিকে চাহিয়া থাকিয়া হাসিয়া উঠিলেন এবং হাসি থামিলে কহিলেন, “না বন্ধ, না, এখনও আমি স্থির নিশ্চয় হইনি। আমি শুধু বাণীর সঙ্গে একটু খেলা করছিলাম। দেখছিলাম, সে যা জানে তা’ বলতে প্রস্তুত আছে কি-না ! কিন্তু না, আমি বতমানে ব্যথ" হয়েছি। একমাত্র এই কারণেই তাকে আটক রাখলাম, যদি ভবিষ্যতে সে কথা কয় ।” মিঃ পাইন সন্তুষ্ট না হইয়া কহিলেন, “সত্য বলতে কি প্রফেসার, আপনাকে সময়ে সময়ে প্রকাশড হে*য়ালির মত আমার মনে হয় । মনে হয়, যেন আপনি অনেক কিছুই জানেন, অথচ আমাকে বলতে প্রস্তুত নন। সত্যই এমন অবস্থা অসহনীয় ।” প্রফেসার হাসিমুখে কহিলেন, “আমাকে বিশ্বাস হয় না, বন্ধ ?” “অমন জঘন্য চিস্থা আমার মনে স্থান পায় না, প্রফেসার। কিন্তু আমার কি মনে” হয় শনবেন ? মনে হয় যে, আপনি আমার চেয়ে অনেক বেশী বন্ধিমান, চিন্তাশীল, দৈাশনিক এবং দরদুটিসম্পন্ন অসাধারণ ব্যক্তি । সময়ে সময়ে নিজেকে আমি অত্যস্ত ক্ষুদ্র বলে ভাবতে বাধ্য হই।" এই বলিয়া প্রফেসারের মুখের দিকে চাহিয়া অনন্তপ্ত স্বরে পুনশ্চ কহিলেন, "আমাকে মাজ’না করুন, বন্ধ । আমি র্যাদ নিষ্ঠর । কথা বলে থাকি, তবে আপনাকে শ্রদ্ধা করি, ভালবাসি বলেই বলেছি। আমি কি জানি না, আমাদের অথাৎ আমার, আর তাতীর জীবন আপনার. দয়াতেই•••=" (9 মিঃ পাইনের মুখ চাপিয়া ধরিয়া প্রসেফার বসু স্নিগ্ধ কণ্ঠে কহিলেন, “আবার " পাইন ? সত্যি বলছি, বারবার যদি ঐ প্রাণরক্ষার কথা আমাকে বলেন, তা’ হ’লে অত্যন্ত রাগ করব ।” এমন সময়ে কক্ষ-দ্বারে মদন আঘাতের শব্দ হইল। দ্বার-রক্ষী সাজেশট বাহির হইতে কহিল, "নীলমাধব আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চাইছে। সে বলে, বিশেষ জরুরী খবর আছে। তাকে কি ঘরে আনবে ?” প্রফেসার বস কহিলেন, “নিশ্চয়ই, তা’কে পাঠিয়ে দাও, সাজেণ্ট।” অলপ সময় পরে সাজেটের সহিত নীলমাধব অফিস-কক্ষে প্রবেশ করিলে..
