পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭৮ মোহন অমনিবাস ( S6 ) একদিন সন্ধ্যার পর প্রফেসার বসু ও মিঃ পাইন মোটরে করিয়া স্যার মহাশ। পাতের প্রাসাদ অভিমুখে গমন করিতেছিলেন। তাঁহারা প্রাসাদ সম্মখে উপস্থিত । হইয়া দেখিলেন, আলোকমালায় সবাহৎ প্রাসাদটি ঝলমল করিতেছে। তাঁহারা মোটর হইতে অবতরণ করিয়া অধৈৰ্যভাবে ঘণ্টা-ধননি করিতে লাগিলেন । i কেহ একজন দ্বার খলিতেছে বুঝিয়া, মিঃ পাইন বাহির হইতে উদ্বিগ্ন স্বরে কহিলেন, “তান্তী দেবী বাড়ীতে আছেন ?” তাপতী দ্বার মুক্ত করিতেছিল ; কহিল, “পাইন ।” দ্বার মন্ত হইবামাত্র মিঃ পাইন দ্রতপদে তরণীর নিকট ধাবিত হইয়া তাহার একখানি হাত আপন দই হাতের মধ্যে লইলেন । প্রফেসার শাস্ত কণ্ঠে কহিলেন, “আমার মনে হয়, বাড়ীর ভিতর যাওয়াই বন্ধিমানের কাজ হবে। কারণ পট-ভূমিকার এমন উক্ত জল আলো আমাদের সহজ লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করেছে।” এই বলিয়া প্রফেসার বাড়ীর মধ্যে অগ্রসর হইলেন। চলিতে চলিতে সহসা মিঃ পাইনের দটি তাপতীর মুখের উপর পড়িলে, তিনি। সবিস্ময়ে দেখিলেন, তাহার মুখ ও মন্তক ক্ষত-বিক্ষত হইয়াছে। তিনি আত স্বরে। কহিলেন, “এ কী ব্যাপার, তাগুী ?” ড্রইং-রমে প্রবেশ করিয়া সকলে উপবেশন করিলে তাপতী কহিল, “আমার মখে দেখলে বোঝা যায় যে কোন কিছল অঘটন ঘটেছে ?" মিঃ পাইন মান হাসিয়া কহিলেন, “তোমার মুখ দেখে আমি বলতে পারি, তোমার মনে কোন ব্যাথা-বেদনা আছে কি-না, তাপতী ?” তাতীর মুখ আনন্দোজবল হইয়া উঠিল। সে নিম্ন স্বরে কহিল, “আমাকে তুমি এমন গভীরভাবে ভালবাস ?" এই বলিয়া মধুর স্বরে হাস্য করিল। প্রফেসার বস কহিলেন, “আমার বন্ধ আপনার মনের ব্যথা-বেদনার কথা বলতে পারেন, কিন্তু আমি ঠিক কি ঘটেছিল বোধ হয় বলতে পারি "ই বলিয়া প্রফেসার বস চক্ষ ঈষৎ মাদিত করিয়া অভিনয়-ধরণে পনচুলিতে লাগিলেন, "একখানা জাল চিঠি পেয়ে আপনি বাইরে গিয়ে দেখেন একটা সিডান গাড়ীতে, মিঃ পাইনের পরিবতে একজন অপরিচিত লোক বসে রয়েছে। তা'কে দেখেই আপনি------* এই অবধি বলিয়া তিনি তাপতীর দিকে চাহিয়া কহিলেন, “ঠিক. হচ্ছে তো, তাপতী দেবী ?" "একেবারে হুবহ ।” এই বলিয়া তাপতী অপেক্ষাকৃত চিন্তিত স্বরে পুনশচ কহিল, "তারপর লোকটা আমাকে জোর করে গাড়ীতে তোলবার যেমন চেন্টা করলে, আমি অমনি সজোরে তার বুকে এক লাথি বসিয়ে দিলাম। লোকটা ছিটকে মোটরের, ভিতর পড়ে গেল ও সঙ্গে সঙ্গে মোটরখানা অদৃশ্য হ’য়ে গেল।” মিঃ পাইনের মুখে উদ্বেগের আভাস ফুটিয়া উঠিল । তাতী প্রফেসারের দিকে চাহিয়া পুনশ্চ কহিল, “আপনার কথা শুনে মনে হয়, যেন ঘটনাস্থলে আপনি