পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহনের অজ্ঞাতবাস ՀԳ> উপস্থিত ছিলেন । এমন সঠিক খবর পেলেন কোথায়, প্রফেসার বসন ?” প্রফেসার হাসিয়া কহিলেন, “কিছুমাত্র কঠিন কাজ নয়, তাপতী দেবী । মাত্র একটু গভীরভাবে চিন্তা করতে শিক্ষা করলেই হয় । আমার বন্ধ-ও ঠিক অনায়াসেই এরপে পারতেন, কিন্তু তাঁর মন আপনার ওপর সবক্ষিণ নিযুক্ত থাকায়, একটু কটকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাঁ ভাল কথা, আমি কি আপনার অভিভাবকের টাইপরাইটারটা একবার ব্যবহার করতে পারি ” / তান্তী সাগ্রহে কহিল, "নিশ্চয়ই পারেন। আসনে, কোন ঘরে আছে আমি দেখিয়ে দিচ্ছি।” প্রফেসার কহিলেন, “আপনার কাট করবার কিছুমার প্রয়োজন নেই, আমি জানি কোন ঘরে আছে।” এই বলিয়া প্রফেসার বসন দ্রতপদে বাহির হইয়া গেলেন । " তাপতী নিম্ন স্বরে কহিল, “আচ্ছা পাইন, প্রফেসার বোসের কথা শনলে এক এক সময় চমক লাগে না ?” মিঃ পাইন উদ্বিগ্ন স্বরে কহিলেন, “প্রফেসারের মত বন্ধিমান ব্যক্তি হেডকোয়াটারে দ্বিতীয় নেই । আমি সময়ে সময়ে বিসিমত হয়ে প’ড় । আমার মনে হয়, প্রফেসার ‘রদবিষাণকে ভালরপেই চেনেন ; কিন্তু যে কোন কারণের জন্যই হোক তাকে উনি কিছুদিনের জন্য নিরাপদে রাখতে চান । হয়তো এমনও হ'তে পারে, এই ‘রদবিষাণ’ ব্যক্তিটি প্রফেসারের কোন বিশিষ্ট বন্ধ ।” তাপ্তী উদ্বেগে ভাঙ্গিয়া পড়িয়া কহিল, “বিশিষ্ট বন্ধ ? তুমি কি কাকাবাবকে সন্দেহ করছ, পাইন ?” মিঃ পাইন বহনক্ষণ কোন কথা বলিলেন না ; পরে কহিলেন, “আমার সন্দেহ যেন মিথ্যা হয় তাপ্তী, আমি এই প্রাথ"নাও সঙ্গে সঙ্গে করছি । তা" হ'লেও আমার স্বীকার করতে লsজা নেই যে, তোমার অনুমানই ঠিক।" কুমারী তাপ্তীর আয়ত চক্ষ দু’টি ছলছল করিয়া উঠিল ; সে কহিল, “না, না, অসম্ভব কথা, পাইন। আমার মহান দেব-চরিত্র কাকু কখনও কি ‘রত্নবিষাণের মত নরঘাতক দস্থ হতে পারে ? ভুল পাইন, তোমার ভুল ।" ড়ে মিঃ পাইন কহিলেন, "একটা বিষয়ে বিষম সন্দেহ ঠেকে, তাপ্ত রদ্রবিষাণের লেখা যতগুলি টাইপ করা পত্র আমাদের হস্তগত হয়ছে, সর্বগুলির এম’ অক্ষরটি ভাঙ্গা । স্যার মহাপাত্রের যে টাইপ-রাইটার প্রফেসার এই মহাতে টাইপ করছেন, তারও ‘এম’ অক্ষরটি অবিকল একই ধরণের। আর একমাত্র এই কারণেই প্রফেসার বোধ হয় স্যার মহাপাত্রের টাইপ-রাইটারটি পরীক্ষা করতে গেছেন।” কুমারী তাপ্তীর মুখ গম্ভীর হইয়া উঠিল। সে কিছু সময় কোন কথা বলিতে পারিল না । এমন সময়ে প্রফেসার বসু প্রত্যাবর্তন করিলেন এবং উভয়ের দিকে ক্ষণকাল একদমােট চাহিয়া থাকিয়া হাসিতে হাসিতে কহিলেন, "না পাইন, ভুল, আমাদের ভুল। স্যার মহাপাত্র “রুদ্রবিষাণ’ নন, কারণ তাঁর টাইপ-রাইটারের ‘এম’ অক্ষরটি একই দোষে দুষিত হ’লেও অন্যান্য অক্ষরের সঙ্গে রদ্রবিষাণের অক্ষরগলির আকাশ পাতাল প্রভেদ।" এই বলিয়া মদ হাসিয়া তার্থীর উৎজল মাখের