পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| মোহনের অজ্ঞাতবাস ৩১৩ প্রফেসার বসু বলিতে লাগিলেন, “রুদ্রবিষাণ’ এইরুপ ভয়াবহ ব্যক্তিরাপে সকলের কাছে প্রকটিত হয় । ‘রত্নবিষাণ’ স্যার মহাপাত্রের এজেণ্ট নিযুক্ত হয়েছিল । অবশ্য প্তার আসল নামে । স্যার মহাপাত্র তাঁর ও তাঁর ওয়াড তাপ্তী দেবীর বেশীর ভাগ অশ্ব' এর হাতে সদে খাটাবার জন্য ন্যস্ত করেন ; ফলে দস্য এই বিপলে ন্যস্ত পঞ্চপদের কিয়দংশ নিজের জন্য ব্যয় ক'রে, স্যার মহাপাত্রকে প্রতারিত করতে *ারান্ত করে ।” কমিশনার কহিলেন, "তারপর ?” "হাঁ, তারপর মিসেস বিনোদিনী পালিতের মৃত্যুর পর আমার চোখ খুলে যায়। মাত্র তখন হ’তেই আমি ঠিক পথে চলতে আরম্ভ করি । আমি চিন্তা করি, ডাঃ পালিতের মত লোককে "রুদ্রবিষাণ' তার কাজ করবার জন্য বেছে নিলে কেন ? প্রথমে এ-প্রশ্নের উত্তর আমি খুজে পাই নি । তারপর এক সপ্তাহ পরে এই সমস্যার পমাধান করি ! যে-সময়ে ডাঃ পালিতের স্ত্রীর মৃত্যু-সংবাদ টেলিফোনে ডাঃ পালিতের কাছে আসে, সে-সময়ে আমি তাঁর অফিসে উপস্থিত ছিলাম। সে সময়ে "রুদ্রবিষাণ' তাঁর সঙ্গে কথা বলেনি, একজন সহকারীর দ্বারাই বলিয়েছিল। বিনোদিনী পালিত দম্যকে চিনতে পেরেছিল এবং দস্য তৎক্ষণাৎ তাঁর দম বন্ধ করে মেরে ফেলে। তারপর ডাঃ পালিতের অফিস পড়ে যায়, এজন্য তিনি বলেন, ৩াঁর বহন অথ’ লোকসান হয়ে গেছে । তারপর “রুদ্রবিষাণ’ স্যার মহাপাত্রকে হরণ করে এবং তাঁকে একখানা কাগজে সই করতে বলে ; তিনি অস্বীকার করেন, ফলে পাশবিক-পীড়নে তাঁর মৃত্যু যখন ঘনিয়ে আসছিল, ঠিক সেই মহোতে আমি তাঁকে উদ্ধার করি। তারপর কুমারী তাপতী দেবীকে দস্য হরণ করে, কিন্তু তাঁকে পীড়ন করতে ভয় পায় । কারণ সে জানতো, মিঃ পাইনের সঙ্গে তাঁর বিবাহের কথাবাতf পাকা হয়ে আছে । আমি তাপতী দেবীকে উদ্ধার করে তা’র সে-চোটাও ব্যথ" ੇਿ " কমিশনার কহিলেন, “আমাকে আপনি বলনে আপনি কোন সরে সংবাদ পেয়ে, ঠিক সময়মত এদের উদ্ধার করতে সক্ষম হন ?" o 9 "বড়ই দুভাগ্যের বিষয় স্যার যে, স্যার মহাপাত্রকে দস্য যুখন অমানষিকভাবে পীড়ন করে, তার পাবে আমি তাঁকে উদ্ধার করতে পারি নিশ> অবশ্য আমি কোন নথা গোপন করতে চাইনে। আমার জন্যে একটি তরণী মেয়ে বিপদে আছে জেনেও কাজ করেছিল এবং আমাকে সব রকমে সাহায্য দিয়েছিল, ঐ তরণী আমার বিবাহিতা ধমৰ্শ-পত্নী, স্যার। অবশ্য তার কথা বিশদভাবে পরে বলছি। তবে তরণীর আসল নাম-বাণী দেবী নয়। কিন্তু বাণী দেবী নামে একটি নারী কয়েকবার জেল খেটেছিল এবং বতমান সে জেলে আছে । আমি এই দসন্যদলের সঙ্গে কাজ করবার সুবিধা হবে বলে এবং তরুণীকে দস্যরা নিজেদেরই একজন ভেবে বিশ্বাস করবে ব’লে, ‘বাণী’ নামে নিযুক্ত করেছিলাম।” “বঝেছি, প্রফেসার । তারপর " কমিশনার উৎসাহিত করিলেন । "তারপর আমি স্যার মহাপাত্রের টাইপ রাইটারে কতকগুলি চিঠি ছেপে, বাণীর