পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

·ტY8 মোহন অমনিবাস দ্বারা সংগহীত ‘রন্দ্রবিষাণের অনুচরদের নিকট পাঠিয়ে দিই। তুমি জান পাইন, স্যার মহাপাত্রের টাইপ রাইটারের "এম" অক্ষরটি ঠিক ‘রত্নবিষাণের মেসিনের মতই ভাঙা । ফলে বিনা সন্দেহে সমস্ত সহকমীরা একত্রে সমাগত হয় ; পরে তুমি তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করো। তারপরেই প্রধান মন্ত্রী পত্র পান—'রন্দ্রবিষাণের কাছ থেকে । দম্য প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে দরকষাকষি আরম্ভ করেছিল । তারপর চরম-পত্র এল। দস্থ্য প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে একজন বডি-গাডf থাকবার অনুমতি দিল । এর মধ্যে ধন্ত দস্যর চালাকি ছিল। সে নিশ্চয় আশা করেছিল যে, হয় আমি, নয় পাইন, একজন না একজন প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে যেতে আদিল্ট হবে । তারপর আমি প্রধান মন্ত্রীর ছদ্মবেশে যাই—সঙ্গে পাইন বডি-গাড" হিসাবে। যদিও পাইন ভেবেছিল যে, সে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে চলবার সৌভাগ্য অজ’ন করেছে, কিন্তু আসলে সে আমি । তারপর আমি যেমন আশা করেছিলাম, আমরা পাশব" দিক থেকে আক্ৰান্ত হলাম। আমি প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলাম, একটা তীক্ষর ছয়রির ফলা হাতের চেটোর মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলাম, ফলে তা হতেই আমার বন্ধন-মুক্তি করি এবং দস্যকে গ্রেফতার করি।” মিঃ পাইন কহিলেন, "ছুরি নিতেও বাণী দেবী বলেছিলেন, তাঁর পদোন্নতি হওয়া প্রয়োজন।" প্রফেসার বসন কহিলেন, "বাণী দেবী আমার স্ত্রী । সে কোন উন্নতি আশা করে না ।" মিঃ পাইন কহিলেন, “কিন্তু একটা বিষয় পরিৎকার হ’ল না। আপনার মনে আছে যে, স্যার মহাপাত্রের প্রাসাদে তাপতী দেবীর জন্মদিনের ভোজে অন্ধকারে স্যারকে কেউ আক্ৰমণ করেছিল, সে কি নীলমাধব ?" "রাজা ? না, পাইন । আমি স্বয়ং সে-কাজটুকু করেছিলাম। কারণ নীলমাধব ও তার একজন সহচর দস্য সেখানে উপস্থিত ছিল । নীলমাধবের উপর আদেশ ছিল, সে বাতি নিবপিত করবে ও অন্যে স্যার মহাপাত্রের গলা টিপে দমূবন্ধ করে মারবে ; কিন্তু অন্ধকারে স্যার মহাপার আমার সম্মখে এগিয়ে আসতেই আমি তাঁকে দ্বিতীয় দস্য ভেবে আক্ৰমণ করি এবং তিনি মাটিতে গড়ে যান। সোজা কথায় সেদিন রাত্রে আমি স্যার মহাপারের জীবন রক্ষা করেছিলাম। কারণ স্যার মহাপাত্রের পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে, নীলমাধব বাতি জেলে দেয় এবং স্যারের মতদেহ দশনের লোভে চেয়ে দেখে । কিন্তু তৎপরিবতে' তিনি সামান্য আঘাত পেয়ে" সে-যাত্রা বে"চে যান ।” মিঃ পাইন কহিলেন, “আর এক কথা, ‘রুদ্রেবিষাণ’ তাতী দেবীকে আয়ত্তে, পেয়েও তাকে হত্যা করে নি কেন ?" “কারণ জীবিত তাপতী দেবী তার কাছে আরও বেশী মল্যবান, মতা তান্তী দেবীর চেয়ে । তখনও তাপতী দেবীর বেশীর ভাগ সম্পদ সে হাতে পায় নি । এইবার বঝেছ পাইন " প্রফেসার মদে হাসিয়া কহিলেন। কমিশনার গম্ভীর সবরে কহিলেন, "ডাঃ পালিতই ‘রন্দ্রবিষাণ’ ! আমি ভাবছি