পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহন অমনিবাস סכס উঠিয়া আসিল । ত্রিশঙ্ক অনন্তপ্ত স্বরে কহিল, “হাজার বার ক্ষমা-প্রাথনা করছি ।" এই বলিয়া সে পুনরায় উপবেশন করিল। মোহন একখানি চেক লিখিতে লিখিতে কহিল, "আমি আপনার অথাৎ dিখw, পালোধির নামে হাজার টাকার একখানি চেক লিখছি।” ত্রিশঙ্ক; পালোধির মুখ গম্ভীর হইয়া উঠিল ; সে কহিল, "আমি আড়াই হাঙ্গা। বলেছিলাম ।” "তা" বলেছিলেন।” এই বলিয়া মোহন চেক লেখা হইতে বিরত হইয়া ত্রিশঙ্কর দিকে চাহিয়া কহিল, “আজ এই হাজার টাকাই আপনাকে দেব । আপনি যদি কাল বিকাল ৪টার সময় একবার এখানে আসেন, তা’ হ’লে দু'জনে চা খেতে খেতে একটা পাকা বন্দোবস্ত ক'রে ফেলব।” ত্রিশঙ্ক গভীর ভাবে চিস্তা করিতে লাগিল । কিছুক্ষণ পরে কহিল, "কেউ আর পয’স্ত বলতে পারেনি যে, ত্রিশঙ্ক পালোধির মনে দয়া নেই, মায়া নেই । আমি এই ভাবপ্রবণতার জন্য কত ষে দুঃখ পেয়েছি, তা’ আর বলবার নয়। কারণ কেউ লিখেও রাখেনি—আমারও মনে নেই । উত্তম, আমি তোমার প্রস্তাব সমর্থন করছি ।" মোহন চেকখানি সহি করিয়া বই হইতে ছি*ড়িয়া লইল এবং দ্বিভাঁজ করিয়া ত্রিশঙ্ক পালোধির দিকে ছ:ড়িয়া দিল । কিন্তু চেকখানি পালোধির হাতের উপর না পড়িয়া মেঝের উপর পড়িল । ত্রিশঙ্ক কয়েক মহতে মোহনের দিকে চাহিয়া থাকিয়া কহিল, “হাজার টাকায় চেক কুড়িয়ে নেওয়া ত্রিশঙ্ক গবে'র বিষয় ভাবে না। কিন্তু আমি যখন হেট হ’য়ে চেকখানা তুলে নেব, সে সময়টা যদি হাত দু'টো তোমার টেবিলের উপর রাখো, তা’ হ’লে খুশি হবো, গুপ্ত সাহেব ।” মোহনের মুখে ঘণাপণে হাসি বিচ্ছুরিত হইয়া পড়িল । সে ত্রিশঙ্কর অনরোধমত টেবিলের উপর দুই হাত রাখিয়া বসিল । ত্ৰিশঙ্কা চেকখানি মেঝের উপর হইতে কুড়াইয়া লইয়া পরীক্ষা করিত্বে লাগিল ; তাহার মাথে হাসি ফটিয়া উঠিল—দই সারি স্ববহৎ দন্ত বাহির হইয়া পড়িল । মোহনের মনে হইল যে, একটি বানর দাঁত বাহির করিয়া হাসিবার ব্যথ চেটা করিতেছে। ত্রিশঙ্ক; তাহার কোটের পকেট হইতে আপাতঃ দটিতেশান্য शानिব্যাগটি বাহির করিয়া তাহার মধ্যে চেকখানি অতি যত্নপর্ব"ক রক্ষা করিল। পরে স্বর মোলায়েম করিবার ব্যথ প্রচেষ্টা করিয়া কহিল, “তোমার ব্যবহারে খুশি হয়েছি । তা’ হ’লে কাল বিকাল ৪টার সময় একসঙ্গে বসে চা পান করা যাবে, আর চিরদিনের মত একটা পাকা বন্দোবস্ত করা যাবে, কেমন ?” "হাঁ, তাই হবে ।” মোহন জোর করিয়া মুখভাব স্বাভাবিক রাখিবার চেষটা করিল। তাহার স্বর এরপে মোলায়েম হইয়া ত্রিশঙ্কর কণে ধাবিত হইল যে, তাহার সকল সন্দেহ দ্রীভূত হইয়া গেল । ত্রিশঙ্ক; পালোধি খুশি মনে উঠিয়া দাঁড়াইল এবং করমদন করিবার জন্য হন্ত প্রসারিত করিল। মোহন দারন অনিচ্ছা ও ঘৃণা সম্বরণ করিয়া তাহার হাতের