পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రీఏ8 মোহন অমনিবাস মেম্বারগণ-তো পাইতই ; উপরন্তু যে কোন ভদ্র মহিলা এবং ব্যক্তির ক্যালঙ্কাh বোডিংয়ের দ্বারদেশ অতিক্ৰম করিবার দভোগ্য হইত, আচম্বিতে রণজিতের ভlwী। মিলিটারী লোহার নাল-মারা বটের স্যালিউট করিবার শব্দ এবং তাহার নয় ৭% সফীত করিবার আপ্রাণ চেষটা ও বিশেষ ধরণে ডান হাতের পাতাটি উপর aিte করিয়া কপালে লাগাইবার কসরতে ভয় পাইয়া দুই পা পিছাইয়া গিয়া আথেকেই বিস্ফারিত দটিতে চাহিতে হইত। ফলে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই স্যালিউটের মালা (৭ বিলক্ষণ ভাবে পাই ত। সে তাহার অতি অন্তরঙ্গ কোন জীবকে প্রায়ই খোশ-মেজাts বলিয়া ফেলিত, “আরে পাগলী, মাইনেতে কি হবে, আমার একা সালিউটের পাগুণ খাবার মতই লোক নেই।” সত্যই রণজিতের উপাজনে খাইবার দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিল না । বাল্যকালে পিএt• মাতাকে হারাইয়া, মাতুলালয়ে প্রতিপালিত হইয়া একদিন সে হঠাৎ কলিকাতার চলিয়া আসিয়াছিল। পরে গত মহাযুদ্ধে সৈনিক হইয়া যন্ধে চলিয়া যায়। শ্রণী যায়, রণজিতের সাহসিতকায় প্রীতি হইয়া তাহাকে সাজেটের পদে উন্নীত কর। হয় । তাহার পরই যন্ধ থামিয়া যায়, রণজিৎ ফিরিয়া আসে। কিন্তু পরাধী৭ দেশে সৈনিক সাজেটের অন্ন-সংস্থানের ক্ষেত্র নাই, সুতরাং অনেক ভাবিয়া চিণ্ডিয়া মুখ রণজিৎ ক্যালকাটা বোডিংয়ে জমাদারী পদ লইয়া সুদীব’কাল বাণ। চাকরি করিতেছে । রণজিৎ বিবাহ করে নাই । কবে নাই, কারণ কোন ভদ্র মেয়ে কিবা ভদ্র পিতা দারোরানের সহিত যোগাযোগে সম্মত হন নাই । ফলে রণজিৎ আজও অবিবাহিত । শ্রীমতী রমার মোটর আসিয়া ক্যালকাটা বোডিংয়ের পোটি কোটে" দাঁড়াইল । রণজিৎ বক্ষের উপর রাইফেল ফেলিয়া মিলিটারী মাচ করিয়া মোটরের নিকট আগাইয়া গেল এবং শোফার দ্বার খলিয়া দিবার প্বেই সে স্বহস্তে মোটরের দরজা খলিয়া দিল এবং ঝনঝনাং শব্দে স্যালিউট পোজে দাঁড়াইল । রমার মুখে মনে মধর হাসি ফুটিয়া উঠিল। সে কহিল, “জমাদার, আমার ভাই হোটেলে আছেন ?" রণজিৎ দ্বিতীয় বার মাথায় হাত ঠাকিয়া কহিল, “নিশ্চয়ই আছে, মেমসাব।" রমার মখে মদ বিসময় চকিতের জন্য ফ.টিয়া উঠিল; স্কোঁহল, আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করব । চল ।” ఫ్రో এই বলিয়া রমা অগ্রসর হইল। রণজিৎ বন্দকে সঙ্কটধ ফেলিয়া রমার পশ্চাতে গমন করিল । হোটেলের ওয়েটিং-রামের সম্মুখে আসিয়া রমা থমকিয়া দাঁড়াইল ; কহিল “আমি কি ভিতরে যেতে পারি, জমাদার ?” রণজিৎ সেলাম ঠুকিয়া কহিল, “আলবত পারেন, "মেমসাব ।” এই বলিয়া সে ওয়েটিংরমের দ্বার মত্তে করিয়া দিল । "এইবার আমার ভাইকে ডেকে দাও, জমাদার।” এই বলিয়া রমা মদ হাস। করিল। রণজিৎ কৃতাৰ্থ হইয়া গেল। কিন্তু ডাকিতে গেল না ; মাথা চুলকাইয়া কহিল, "সাহেবের নাম কি, মেমসাব ?”