পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ী মোহন ○。豊 রমা কহিল, "তাও বটে। আমার ভাইকে সব রাঙা-সাহেব বলে ডাকে ৷” রণজিৎ জমাদার মনে মনে কহিল, "এমন সুন্দরীর ভাই রাঙা-সাহেব হবে না-তো জার কার ভাই হবে।” কিন্তু রণজিতের নিকট বৰ্তমানে প্রত্যেকটি মেমবারের নাম ও জন্ম-আর ইতিহাস একেবারে বহু-অধীত পুস্তক বলিলেই ঠিক হয় । সে মাথা লঙ্কাইয়া কহিল, “ও নামে-তো কেউ হোটলে নেই, মেমসাব ।” "নেই ।” এই বলিয়া রমা যেন আকাশ হইতে পড়িল । তাহার মুখভাব জ৩িমাত্রায় মান হইয়া উঠিল ; সে পুনশ্চ কহিল, “নেই ? তবে কি অশোক রায় নামে নাম লিখিয়েছে ?” রণজিৎ আবার বিষন্নভাবে মাথা নাড়িয়া কহিল, “না মেমসাব, ও নামেও কেউ tभहै ।” "নেই ! ও নামেও নেই ?” এই বলিয়া রমা যেন দুঃখে কাঁদিয়া ফেলিবার উপক্ৰম করিল। ক্ষণকাল পরে সে জমাদার রণজিতের মান মুখের দিকে চাহিয়া কহিল, “তবে কি নামে রেজিসট্রী করেছে, জমাদার ?” জমাদার বিপদ গণিল । সে কহিল, “আচ্ছা, আমি দেখছি মেমসাব, যদি আপনার ভাই-সাহেবকে খুজে পাই ।” সহসা যেন মনে পড়িল, এমন ভাব দেখাইয়া রমা কহিল, "হয়েছে জমাদার, হয়েছে। এইবার আমার মনে পড়েছে। আমার ভাই এখনও আসেনি এখানে । কিন্তু দ'-একদিনের মধ্যেই আসবে—চিঠি পেয়েছি। ওহো, মা গো, কতদিন আমার । ভাই-সাহেবকে দেখিনি !" এই বলিয়া রমা দুই করতলে মুখ চাপিয়া ধরিল। জমাদার সান্ত্বনা দিবার জন্য কহিল, “এইবার দেখবেন মেমসাব, দেখবেন । ভাইসাব যখন আসছেন, তখন আর ভাবনা কি ? তিনি এলেই আমি আপনাকে সংবাদ এনে দেব ।” রমা মুখ তুলিয়া হাস্যমুখে চাহিয়া কহিল, “ধন্যবাদ। কিন্তু আর একটু কাজ । যে করতে হবে, জমাদার ” ぐ。 "হকুম করন, মেমসাব। আমি আপনার হকুমে-“”রণজিৎ বলিতে বাইতেছিল, জান দিতে পারি, কিন্তু সে সহসা সতক হইল । 0 রমা কহিল, "আমার ভাইসাব যখন নিশ্চয়ই আসছে, তখন আমি একখানা క్ష్కా চিঠি তার নামে লিখে রেখে যেতে চাই। কারণ তো বুঝছ, জমাদার ? আমার ডাইসাব বড় অভিমানী; যদি সে দেখে আমার পত্র নেই, তবে সে যে আমাকে কখনও ক্ষমা করবে না, জমাদার ।” / \ রণজিৎ কহিল, “চিঠির কাগজ আর খাম, আর•••" “কলম আমার কাছে আছে, জমাদার । ধন্যবাদ।” এই বলিয়া রমা মদ হাসিল । রণজিৎ সিং দ্রতপদে ওয়েটি-রামের পাশেব’ই হোটেলের অফিসকক্ষে প্রবেশ করিল এবং ব্যস্তভাবে একখানি চিঠির কাগজের প্যাড ও দু’খানি খাম লইয়া অনতিবিলম্বে পুনশ্চ ওয়েটিং-রমে গমন করিল এবং রমার সম্প্রমুখের টেবিলের উপর রাখিয়া কহিল, "আপনি চিঠি লিখে আমাকে দিন, মেমসাব । আপনার ; ভাই-আসবামাত্র আমি তাঁকে দেব ।” |