한 মোহন অমনিবাস “আমার অভিমত ” এই বলিয়া রমা দটি অবনত করিল ; তাহার মুখে করুণার আভাস সপটিরাপে পরিস্ফুট হইয়া উঠিল ; সে পুনশ্চ কহিল, “আমি কি জানি যে তোমাকে পরামর্শ দেব ? আমি শধ্যে ভাবছি, ভগবান আমাদের জীবনে শান্তিময় দিন লেখেন নি।” "কা'কে তুমি শান্তিময় জীবন বলো, রানী ?” মোহনের কন্ঠস্বর অস্বাভাবিকরপে কোমল হইয়া উঠিল ; সে বলিতে লাগিল, "নিজের মুখ, নিজের সবাথ পণে করে নিরুদ্বেগ জীবন যাপন করার নাম যদি "শান্তি’ হয়, তবে তেমন শান্তির আমাদের কোন প্রয়োজন নেই । অলস, স্বাথ‘পর জীবনের মত দভোগ ভরা জীবন যেন আমার পরম শ্যরও কাম্য না হয়, এই প্রাথ'না আমি আমত্য পর্যন্ত করব । কিন্তু এক্ষেতে আমি কি করতে পারি বলো তো, রমা ? আমি তো কোন কারণের জন্যেই, কোন অজুহাতেই কোন বেআইনী কাজ করতে পারি না । তা’তে যদি শান্৬ি-হারা জীবনও যাপন করতে হয়, সেও হবে আমার কাম্য ।” র্যা পীরে ধীরে বামীর পাছের অন্য একখানি ইজি-চেয়ারে উপবেশন করিয়া কহিল, "তুমি কি এই মেয়েটির বাপকে চেন ?” "কোটিপতি রমানাথ মিত্তিরকে কে না চেনে, রমা ? এর মত পরোপকারী, দয়াল, মহাত্মা খুব কমই আমার জীবনে দেখতে পেয়েছি । এর ওপর আমার অসাধারণ শ্রদ্ধা ছিল, রানী । একমাত্র এই জন্যেই আমার সঙ্গে তাঁর শত্রতা হবার সযোগ আসে নি।” মোহন সশ্রদ্ধ কণ্ঠে কহিল। রম সবিসময়ে কহিল, "এমন মহৎ লোক হ’য়ে, এমন ভুল ক’রে গেলেন কেন ? বড় আশ্চর্য ব্যাপার তো ।” মোহন মদ হাসিয়া কহিল, "এমন ভুল কত যে দিবা-রাত্র এই ভুলময় পৃথিবীতে সংঘটিত হচ্ছে, তা'র আর ইয়ত্তা নেই, রমা। অতি পবিত্র বস্তুই অতিমাত্রায় বিকৃত হয়ে থাকে। রমানাথ মিত্রের মত দয়াল, সরল-প্রাণ ব্যক্তিরাই অসৎ ব্যক্তিদের হাতে প্রতারিত হন। এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় নি। কিন্তু কথা আমাদের تم تجة ما - o তা’ নয় । আমরা••• --” @$o বাধা দিয়া রমা কহিল, “তুমি এই পিশাচ করালীচরণকেও চেনতো ?” মোহন হাসিয়া উঠিল । কহিল, "না, রমা। এদের মত অথ'লোভী, অর্থহীন, ধত পিশাচদের চেনবার সৌভাগ্য তোমার অযোগ্য স্বামীর খাব কমই হয়েছে। তা’ ছাড়া এ*দের মধ্যে এমন কোন বিশেষত্ব নেই, যা’র জন্যে আগে থেকে বোঝবার, জানবার প্রয়োজন হয়ে থাকে ৷ পাচক যেমন হাঁড়ির একটা ভাত টিপে বলে দেয়, সব ভাত সিন্ধ হয়েছে কিনা, তেমনি এদের মত যে-কোন একটা ধতিকে চিনলেই, এদের সকলকেই চেনা-জানা হয়ে যায় । আমি করালীচরণের জন্য আদৌ উদ্বিগ্ন নই!” "তবে ?” রমা নত স্বরে জিজ্ঞাসা করিল। মোহন ক্ষণকাল নীরবে চিন্তা করিয়া কহিল, "আমার সকল উদ্বেগ, সকল উৎকন্ঠা একমাত্র হতভাগী মেয়েটার জন্য। চৌদ্দ বছরের শিশ-মেয়ের দলব’লতা
