পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসন্তু রায় ፃፃ অপূৰ্ব্ব চরিত্র। বিক্রমাদিত্য রাজা মাত্র, বসন্ত রায় রাজ্যের সব। রাজ্য ংস্থাপনকালে যাবতীয় রাজনৈতিক মন্ত্রণ তিনিই দিয়াছিলেন ; রাজ্য সংস্থাপিত হইলে, তিনিই দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করিতেন। যশোর রাজ্যের সেই প্রতিপত্তির যুগে জনৈক পণ্ডিত বলিয়াছিলেন – “যশোহর-পুরী কাশ, দীর্ঘিকা মণিকর্ণিকা তর্কপঞ্চাননো ব্যাসঃ বসন্তঃ কালভৈরবঃ ” যশোহর নগরী বারাণসী তুল্য ছিল। কাশীক্ষেত্রে দুষ্কতদিগের দণ্ডবিধান করিয়া, নগররক্ষার ভার কালভৈরবের উপর ন্যস্ত ; বসন্ত রায়ও যশোরের যাবতীয় শাসনভার গ্রহণ করিয়াছিলেন । তিনিই প্রধান মন্ত্রী ; তিনিই কোষাধ্যক্ষ ; তিনিই সমাজের নেতা ও প্রতিষ্ঠাতা ; বিক্রমাদিত্য রাজা হইলেও তিনিই প্রকৃতপক্ষে দগুমুণ্ডের কৰ্ত্ত। তিনি কোন কার্য্যের মন্ত্রণা করিতেন ; আবার নিজেই নায়ক হইয় তাহ সুকৌশলে সম্পন্ন করিতেন। বসন্ত রায় অসমসাহসী ও অসাধারণ যোদ্ধা ছিলেন। তিনি যখন র্তাহার “গঙ্গাজল" নামক তরবারি করে ধারণ করিয়া যুদ্ধার্থ দণ্ডায়মান হইতেন, তখন দলবদ্ধ লোকেও সহজে তাহার সামীপ্যলাভ করিতে পারিত না। কিন্তু সেই বীরপুরুষের বরবপুতে কঠোরতার ছায় ছিল না। তাহার মুৰ্ত্তি সৰ্ব্বদাই সৌম্য, শাস্ত ও ভক্তিভাবব্যঞ্জক। সে মুখে হাসি লাগিয়া থাকিত, উৎসাহে তাহার নেত্রদ্বয় হাসিত, তাহার রহস্যময়ী ভাষা সভার মাঝে হাসির তুফান বহাইত । * আবার এই মহাপুরুষ সৰ্ব্বদা দেবদ্বিজে ভক্তিমান, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ-পরিশূন্ত, সামাজিক এবং সমাজের একনিষ্ঠ প্রতিপালক। তিনি পণ্ডিতের সম্বৰ্দ্ধনা করিতেন, গুণের পুরস্কার দিতে জানিতেন ; এবং নিজে যেমন বিদ্বান, তেমনি সঙ্গীতাদি কলা-বিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। একবাব রাজসিংহাসন-পাশ্বে গৃঢ় মন্ত্রণায়, পরমুহূর্তে উন্মুক্ত ক্ষেত্রে কাৰ্য্য-ব্যবস্থায় কখনও অন্দরে পোস্ত্রপৌত্রীদিগের সঙ্গে লীলারহস্তে, কখনও মন্দিরে পুষ্পবিত্ৰ লইয়া পূজা সাধনায়, কখনও সৈন্ত সেনাপতি লইয়া অন্ধক্ৰীড়া

  • রবীন্দ্রনাথের “বোঁঠাকুরাণীর হাটে” বসন্ত রায়ের চরিত্রের এই ভাবটি অতি কুন্দর ফুটিয়াছে। ক্ষীরোদ বাবুর “গ্রতাপাদিতা" নাটকে বহুবিধ ভ্ৰাপ্তির মধ্যেও বসন্ত-চরিতের DBB BBB DDSDDS DBBD DDD BBS BBD T MBBD SDDD DDDDD DS

কয়ে নাই ।