পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शश्नं-कशों Yeş একাদশ পরিচ্ছেদ—বং শ-কখ। প্রতাপাদিত্যের ইতিহাস আরম্ভ করিরার পূৰ্ব্বে যশোহর-রাজগণের বংশকথা জানিয়া লওয়া আবশ্যক। কারণ বংশধরগণের নাম ও তাহাদেৱ সম্বন্ধ-স্বত্র না জানিলে পরবর্তী ঘটনাবলী সহজে বুঝা যাইবে না। এজন্য আমরা ঘটকদিগের প্রাচীন পুথিতে আশগুহ বংশীয় গজপতি হইতে প্রতাপাদিত্যের সন্ততি পৰ্য্যন্ত এই বংশের বিবরণী যতটুকু আছে, তাহা এই স্থানে প্রকাশ করিতেছি ; পরবর্তী অংশের বংশলতিকা প্রয়োজন মত স্থানান্তরে প্রদত্ত হইবে। প্রতাপাদিত্যের বাল্যকথা বলিবার পূৰ্ব্বে তাহার পুত্রপৌত্রের প্রসঙ্গ তুলিতে যাওয়া প্রচলিত প্রণালীর অনুমত না হইতে পারে ; কিন্তু ঐতিহাসিকের পক্ষে ঔপন্যাসিকতার প্রতি দৃষ্টি রাখিবার কোনও প্রয়োজন আছে বলিয়া মনে করি না। সরল সত্য পূৰ্ব্বক্ষণে বলিয়া রাখাই ভাল, কারণ তাহা হইতে পরে অনেক দ্বিরুক্তি বা কৈফিয়তের হাতে নিস্তার পাওয়া যায়। আমার নিকট যে সকল বঙ্গজ কায়স্থ-কারিক আছে, তন্মধ্যে একথানি অতিজীর্ণ পুরাতন পুথিতে আশগুহের বংশশাখা পাইয়াছি ; উহার যে অংশে যশোহর-রাজগণের প্রসঙ্গ আছে, অতিকষ্ট্রে পাঠোদ্ধার করিয়া সেই টুকুমাত্র এখানে প্রকাশ করিলাম। অন্তান্ত ঘটককারিকার সহিত যে ইহার সামঞ্জস্য আছে,তাহ ভাল ভাবে মিলাইয়া দেখিয়াছি। এজন্য এই পুথি খানি প্রামাণিক বলিয়া সম্পূর্ণ বিশ্বাস করি । এই বিবরণীতে দান গ্রহণ স্পষ্টতঃ উল্লিখিত আছে ; যে সকল বংশের সহিত বিক্রমাদিত্য প্রভৃতির বৈবাহিক সম্বন্ধ হইয়াছিল, পৃথক পৃথক ভাবে সে সব বংশের প্রসঙ্গেও এই রাজবংশীয়দিগের নাম যথোপযুক্তভাবে পাইয়াছি। এই বংশাবলী অতি সংক্ষিপ্ত, ইহাতে অনর্থক কথা নাই। কিন্তু দান গ্রহণের প্রকৃতি সম্বন্ধে যেরূপ স্বক্ষ বিচার আছে, তাহ দেখিলে সত্যতা সম্বন্ধে সন্দেহ হয় না। পূর্বেই বলা হইয়াছে, গাভ-বস্ত্রবংশায়ু,পরমাননারায় বসন্তরায়ের ভগিনীপতি ছিলেন ; তিনি যশোহর রাজ্যের পতনের পর বর্তমান বাগেরহাটের নিকটবর্তী হাবেলী কাড়া পাড়ায় বাস করেন । সমাজে তিনি উচ্চকুলীন বলিয়া বিখ্যাত ; এখনও তাহার বংশধরগণ সগৌরবে তথায় বাস করিতেছেন। তাহাদেরই আশ্রিত ঘটকদিগের নিকট হইতে আমি কতকগুলি প্রাচীন কারিকা সংগ্ৰহ করিয়াছি। কারিকায়