পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

尊 যশোরেশ্বরী రిరి অসাধারণ কাৰ্য্যদক্ষতা ও অদ্ভুত বীরত্ব থ্যাতি মানব মাত্রকেই লোকপ্রিয় কবিয়া থাকে। তাহার সঙ্গে সঙ্গে লোকে যদি শুনে, দেবী কালিকা স্বয়ং র্তাহার সহায়, তাহ হইলে আর কথা থাকে না। সাধারণ লোকে তাহাকে একেবারে দেবতা বলিয়াই মানে এবং বনে জঙ্গলে ভীষণ বিপদে যেখানে ইচ্ছা সেইস্থানেই লোকে তাহার পদানুসরণ করিয়৷ অসম্ভবকে সম্ভব করিয়া তুলে । রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে ধনবল প্রতাপের করায়ত্ত হইয়াছে ; এতদিনে দেববলে বলীয়ান হওয়ায় লোকবলও তাহার হস্তগত হইতে চলিল । বনান্ত ও নদীবহুল যশোর রাজ্য সহজে দুৰ্গম এবং নবাগত মোগলের প্রতি তখনও লোকে অতীব সন্দিগ্ধ এবং ভক্তিশূন্ত ; সুতরাং দেশ ও কাল উভয়েই র্তাহার সহায় ; স্বাধীনতা লাভের জন্ত কোন চেষ্টা করিতে হইলে, ইহাই তাহার উপযুক্ত সময়। প্রতাপ সময় বুঝিয়া যথোচিত আয়োজন করিতে লাগিলেন । সে আয়োজনের পরিচয় আমরা পরে দিতেছি ; আপাততঃ যশোরেশ্বরীর সহিত সম্বন্ধযুক্ত অন্যান্য বিগ্রহের পরিচয় দিয়া লইব । প্রত্যেক পীঠদেবতারই এক একটি ভৈরব থাকে, যশোরেশ্বরীর ভৈরবের নাম চণ্ড ভৈরব । অতি প্রাচীনকাল হইতে তাঙ্গর জন্য একটি পৃথক মন্দির ছিল, এ মন্দিরও কতবার ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, কে জানে ? কথিত আছে গোড়াধিপতি লক্ষ্মণ সেন এই চণ্ড ভৈরবের জন্ত একটি মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন । কিন্তু প্রতাপ যখন ভৈরবটি পাইলেন, তখন র্তাহার মন্দির বিলুপ্ত হইয়াছিল। তিনি উহার জন্য একটি ত্রিকোণ মন্দির গঠন করিলেন ; বারংবার সংস্কারের পর সে ত্রিকোণ মন্দির এখনও দণ্ডায়মান আছে। তাহার দরজাগুলি নাই ; ভিতরও জঙ্গলাকীর্ণ হইতেছে ; পুনরায় উছার সংস্কার প্রয়োজনীয়। চণ্ডভৈরব এখন মায়ের মন্দিরে পূজিত হইতেছেন। প্রতাপও চণ্ডের সব অংশ পান নাই ; উহা একটি বড় বাণলিঙ্গ ; প্রতাপ উহার উদ্ধভাগ অর্থাৎ লিঙ্গংশটুকু আবর্জনার মধ্যে পাষ্টয়াছিলেন। এ অংশ শ্বেত মৰ্ম্মর প্রস্তবে গঠিত ; তিনি উহার নিম্নবৰ্ত্ত গৌরী পট্টের পবিবর্তে একখানি শ্বেত প্রস্তরের ত্রিকোণ পীঠ প্রস্তুত করিয়াছিলেন।