পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোরেশ্বরী >○" ত্রিকোণাকৃতি। তিনটি প্রাচীরের মন্দির আমরা আর দেখি নাই। পূজার পর v মায়ের নিৰ্ম্মাল্যাদি রাখিবার জন্য মন্দিরের দক্ষিণে ত্রিকোণ করিয়া ইষ্টক গ্রথিত পুষ্পাখার প্রস্তুত করেন। ছাগাদি বলি দিলে, তাহা হইতে রক্ত বহিয়া গিয়া পূৰ্ব্বপাশ্বে একটি ছোট পুষ্করিণীতে পড়িত, উহার নাম “খপর পুষ্করিণী" ; উহাও ত্রিকোণাকৃতি। প্রতাপের প্রচলিত র্তাহার স্বীয় নামাঙ্কিত মুদ্রাও ত্রিকোণাকৃতি ছিল বলিয়। কথিত আছে। আমরা পরে দেখাইব, প্রতাপ মুসলমান দিগের জন্ত একটি মসজিদ ও খৃষ্টানদিগের জন্ত একটি গির্জা নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন ; মায়ের মন্দির, মসজিদ ও গির্জা,- এই তিন জাতির তিনটি উপাসনালয় এমন ভাবে স্থাপিত হইয়াছিল, যেন একটি ত্রিভুজের তিন কোণে পড়ে। প্রতাপ এই সময় হইতে নিত্য তান্ত্রিক পূজাদি করিতেন। এ বিষয়ে একটি প্রবাদ আছে। গোবরডাঙ্গার নিকট ইছাপুরে রাঘব সিদ্ধাস্তবাগীশ নামক একজন প্রসিদ্ধ পণ্ডিত ও নিষ্ঠাবান তান্ত্রিক ছিলেন। গল্প আছে, তিনি নাকি বাট হইতে ৮ ক্রোশ দূরে গিয়া নিত্য গঙ্গাস্নান করিয়া আসিতেন। র্তাহার কিছু ভূসম্পত্তিও ছিল । এক সময়ে তিনি প্রতাপকে রাজস্ব দিতে অস্বীকৃত হওয়াতেই হউক বা অন্ত কোন কারণে প্রতাপের বিরাগ-ভাজন হন। তখন প্রতাপ সসৈন্তেআসিয়া বর্তমান গোবরডাঙ্গার দক্ষিণে যমুনার কুলে ছাউনী করেন। সিদ্ধাস্তবাগীশ স্বানান্তে দৈবশক্তিবলে প্রতাপাদিত্যের শিবিরে প্রবেশ করেন এবং প্রতাপের ভূত্যের সহিত বন্দোবস্ত করিয়া স্বহস্তে রাজার পূজার আয়োজন করিয়া রাখেন। প্রতাপ সে আয়োজন প্রণালী দেখিয়া চমকিত হন এবং কে করিয়াছে জিজ্ঞাসা করেন। তখন সিদ্ধাস্তবাগীশ আত্মপরিচয় দেন। প্রতাপ তাহার সহিত আলাপে ও তাহার প্রগাঢ় পাণ্ডিত্যে মুগ্ধ হইয়া তখনই তাহার সহিত সম্ভাৰ স্থাপন করেন। তখন রাঘব রাজাকে আতিথ্য গ্রহণের জন্ত অনুরোধ করেন । প্রতাপ তখন উত্তর করেন, তিনি পরের রাজ্যে অন্তের অন্নগ্রহণ করেন না । বাস্তবিকই ছাউনি স্থানটি সিদ্ধাস্তবাগীশের দখলে ছিল। তখন তিনি উহ। তৎক্ষণাৎ দলিল লিথিয় প্রতাপাদিত্যকে অর্পণ করেন এবং প্রতাপকে সমারে জানে অভ্যর্থনা করেন। তদবধি ঐ স্থানটির নাম হয় প্রতাপপুর। Aly