পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৮ যশোহর-খুলনার ইতিহাস এ খাতগুলিকে ডক বা গুদি বলিত। গুদির মধ্যে কতকগুলি ১০০ × ৬৬ ফুট পরিমিত এবং অনেকগুলি ইহা অপেক্ষা কমবেশী নানা আকারের হইবে । নদীর দিক ব্যতীত গুদি সকলের অপর তিন পাশ্ব ইষ্টকগ্রথিত ছিল ; এখনও ২৪টিতে সেরূপ গাথুনি আছে। মধ্যবৰ্ত্ত ভিট্টাগুলির কতক অত্যন্ত উচ্চ। এক মাইলের অধিক দূর পর্য্যন্ত হাটয় গেলে, তবে গুদিগুলি পার হইয়া যাওয়া যায়। উত্তর দিকে যেখানে গুদিগুলি শেষ হইয়াছে, সেখানে যমুনা নদী প্রার দুই মাইল প্রশস্ত ছিল ; এখনকার খাত দেখিলে উহা অনুমিত হয়। গুদির মুখে দুই পাশ্বের ইষ্টক প্রাচীরের প্রান্তের সহিত কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত কপাট লাগান ছিল ; জাহাজ বা নৌকাগুলিকে উহার মধ্যে প্রবেশ করাষ্টয়া ঐ সকল কপাট বন্ধ করিয়া জল নিষ্কাশন পূৰ্ব্বক উছাদিগকে মেরামত করা হষ্টত, অথবা শুষ্ক গুদিতে রাখিয়া নূতন পোত নিৰ্ম্মাণ করিয়া জলপূর্ণ করতঃ সেগুলিকে ভাসাইয় লওয়া হইত। শুধু চুধুলীতে নহে, জাহাজঘাট, আড়াইবাকীর মোহান, সগর দ্বীপ ও অন্তাষ্ঠ স্থানেও পোত-নিৰ্ম্মাণের ব্যবস্থা ছিল । একবিংশ পরিচ্ছেদ-লোক-নিৰ্ব্বাচন একক কেই কখনও কোন কাষ করিতে পারে না ; বড় কাযে অন্তের সহায়তা চাই । সেই সহায়তার সদ্ব্যবহার করাষ্ট ব্যক্তি-বিশেষের কৃতিত্বের পরিচায়ক। সৈন্তগণের দেহ রক্তের বিনিময়ে যুদ্ধে জয়লাভ হয় বটে, কিন্তু যশস্বী হন সেনাপতি। তবে সৈনিকের প্রাণপণ বিক্রম প্রদর্শিত না হইলে, সেনাপতিত্ব বিফল হয়। যে সব রাষ্ট্র-বিজয়ী বীর জগতের ইতিহাসে কীৰ্ত্তি-মণ্ডিত হইয়াছেন, তাহাদিগকে নিজ অপেক্ষ সহকারী সৈন্ত ও সেনানীবৰ্গের উপর অধিকতর নির্ভর করিতে হইয়াছিল। দেশে যখন একটা নূতন আন্দোলন উঠে, নূতন বিপ্লব জাগে, পূৰ্ব্বইইতে কেমন এক প্রাকৃতিক নিয়মে তাহার আয়োজন হইতে থাকে। সেই আন্দোলনের স্রোতের মুখে তাহারই আমুকূল্যের জন্য যখন একজন বুক পাতিয়া দাড়ায়, তখন অলক্ষিত ও অতর্কিত ভাবে শতজন আসিয়া তাহার পৃষ্ঠপোষণ করে ; তখন ভগবানের ব্যবস্থায় পূৰ্ব্ব হইতে যে সমস্তই প্রস্তুত ছিল, তাহ