পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৪ যশোহর-খুলনার ইতিহাস অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত ও সুশিক্ষিত করিয়াছিলেন, ইহাই তাহার সৈন্ত-গঠন প্রণালীৰ চতুর্থ বিশেষত্ব। এতক্ষণ আমরা প্রতাপাদিত্যের যুদ্ধায়োজনের পরিচয় দিলাম। তিনি কি ভাবে দুর্গ নিৰ্ম্মাণ ও নৌ-বাহিনী গঠন করিয়াছিলেন, কি ভাবে সৈন্ত গঠন ও তাহাদের পরিচালনার জন্য লোক নিৰ্ব্বাচন ও রসদ সংগ্রহের সুব্যবস্থা করিয়াছিলেন, তাহাই দেখাইলাম। এখন আমরা তাহার কার্য্যকলাপ ও যুদ্ধ বিগ্রহের বিবরণ দিতে চেষ্টা করিব। এতক্ষণ যাহার আয়োজন করিয়াছি, এখন তাহার প্রয়োজনীয়তা দেখাইতে হইবে। ত্রশ্লোবিংশ পরিচ্ছেদ-প্রতাপেব্ল ব্লাজত্ব এইবার আমরা প্রতাপাদিত্যের রাজত্বের কথা বলিব । সময়ানুক্রমে তাহার জীবনের ঘটনাবলী বিবৃত করা যায় না ; কারণ সমসাময়িক বা বিশ্বাসযোগ্য লিখিত বিবরণী না থাকিলে, ঘটনার পৌৰ্ব্বাপৰ্য্য স্থির রাখা সম্ভব নহে। পূৰ্ব্বে আমরা কয়েকটি পরিচ্ছেদে র্তাহার যুদ্ধাদির আয়োজনের পরিচয় দিয়াছি। বর্ণিত সকল ঘটনাই যে রাজ্যারম্ভেই হইয়াছিল, এমন কথা নহে ; ততগুলি দুর্গ বা নৌ-বাহিনী নিৰ্ম্মাণ বা লোক সংগ্রহ অল্প দিনে হয় না ; তবে কখন কোন ঘটনা হইয়াছিল, তাহ যখন নিৰ্দ্ধারিত করিয়া বলিবার উপায় নাই, তখন একজাতীয় ঘটনাগুলি একত্র প্রকাশিত করাই ভাল। সেরূপভাবে শ্রেণীবিভাগ করিলে প্রকৃত ব্যাপারটা বুঝিবার পক্ষে সহজ হয়। আমরাও তাহাই করিয়াছি। যতদূর বুঝিতে পারা যায়, প্রতাপাদিত্য ১৫৮৭ খৃষ্টাব হইতে রীতিমত স্বহস্তে রাজকাৰ্য্য পরিচালনা করিতে থাকেন। এই বৎসরই তাহার ধূমঘাটের দুর্গ নিৰ্ম্মিত হইতেছিল ; তাহ অচিরে সম্পন্ন হইল। এই বৎসরই মাতা যশোরেশ্বরীর আবির্ভাব হইল এবং তাহার মন্দির নিৰ্ম্মিত হইল। সেই পীঠমূৰ্ত্তি আবির্ভাবের ফলে তিনি দেবানুগ্রহীত বলিয়া আখ্যাত হইলেন। এই দৈব কারণে র্তাহার নিজেরও চরিত্রোন্নতি হইল। তিনি গুরুদেবের নিকট নিয়মমত পূর্ণাভিষিক্ত হইলেন এবং রীতিমত তান্ত্রিক পূজা ও ক্রিয়ানুষ্ঠান করিতে লাগিলেন। এই