বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミやや যশোহর-খুলনার ইতিহাস হওয়া তাহার অভিপ্রেত ছিল না, কারণ তিনি দেশীয় লোকের শক্তি ও প্রকৃতি বুঝিতেন। প্রতাপ বার্তাহার সহিত সখা-স্থত্রে আবদ্ধ দুই এক জনের মনে স্বাধীনতার উন্মেষ হইতে পারে, কিন্তু সমগ্ৰ দেশ না জাগিলে তাহ বিফল হইবে এবং অসময়ে চেষ্টা করিয়া বিফলতা লাভ করিলে ভবিষ্যতের আশাও কিছু থাকিবে না, প্রতাপকে তিনি তাহ। বুঝাইলেন, কিন্তু তিনি বুঝিলেন না, বরং খুন্নততের প্রতি এই বিরুদ্ধ মতের জন্ত আন্তরিক অসন্তুষ্ট হইয়া রছিলেন। বসন্ত রায়ও প্রতাপের ভবিষ্যৎ বিপদ-সন্ধুল মনে করিয়া নিজে পৃথক হইয় থাকিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। প্রকাশে কেহ বিশেষ কিছু বলিলেন না, কিন্তু মেঘ ক্রমেই ঘনীভূত হইতে লাগিল। প্রতাপ ধুমঘাটে রাজত্ব আরম্ভ করিলে, বসন্ত রায় গঙ্গাতীরে রায়গড় দুর্গে পরিবারবর্গ স্থানান্তরিত করিয়া, অধিকাংশ সময় তথা হইতেই যশোর রাজ্যের y ছয় আনা অংশের শাসনকাৰ্য্য করিতে লাগিলেন। উৎসবাদি উপলক্ষে কখন কখনও তিনি যশোহরে আসিতেন। যুদ্ধ বা রাজনীতি ক্ষেত্রে প্রতাপাদিত্যের যে চণ্ডমূৰ্ত্তি দেখি, শাসনকালে তাহ। ছিল না। তাহার মূৰ্ত্তিতে যে কঠোর ভাব ছিল, তাহ অস্বীকার করা যায় না, সকল যোদ্ধারই তাঙ্ক থাকে ; আলেকজেণ্ডার, নেপোলিয়ন, প্রতাপসিংহ বা শিবাজী সকলেরই এক কঠোর ভাব ছিল, উঙ্গ বীৰ্য্য-প্রতিভার অঙ্গস্বরূপ। দেশের শাসক বীরপুরুষের মুখে যদি স্ত্রীজনোচিত কোমল ভাব বা মধুর ভাষ শুনিতে চাই, অনেক স্থলে তাহাতে নিরাশ হইতে হয়। প্রতাপাদিতের কঠোরতার অন্তরালে হৃদয়ের অস্তস্তলে এক অপূৰ্ব্ব কোমলতা ও মহাপ্রাণত ছিল ; বাহিবে তাহা দ্যায় বিচারে, উদার ব্যবহারে এবং দয়াদাক্ষিণে প্রকাশিত হইয়া পড়িত। বসন্ত রায়ও শিষ্টের পালনে ও প্রজারঞ্জনে দক্ষ ছিলেন, দুষ্টের দমনেও তাহাব আগ্রহ ছিল , তিনি মিতব্যয়ী, মিতাচারী এবং সহৃদয় ব্যক্তি ; ধীর স্থির ভাবে সুবিবেচনায় যাহা করা যায়, তাছা তিনি করিতেন। কিন্তু প্রতাপের প্রতিভা অন্তরূপ ; তাহার যোদ্ধ জনস্থলভ কঠোর প্রকৃতি মানুষকে শঙ্কান্বিত করিত, র্তাহার শাসন হয়তঃ কোন কোন স্থলে বড় কঠোর হইয়া যাইত ; কিন্তুব হুক্ষেত্রে র্তাহার অসাধারণ উদারতা দেখিয়া লোকে বিস্মিত ও স্তম্ভিত হইত। লোকে র্তাহাকে ভয় করিত সত্য, কিন্তু আবার তাহার দয়াদাক্ষিণোর জীবন্ত দৃষ্টান্ত দেখিলে সকল ভয়, সকল নিন্দ ভাসিয়া যাইত। তাহার এই সকল গুণের