পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতাপের রাজত্ব । ९8S এইরূপে যখন প্রতাপাদিত্যের যশোপ্রভ চতুর্দিকে বিকীর্ণ হইতেছিল, তখন ক্রমে ক্রমে কত পণ্ডিত ও গুণিজন তাহার শরণাপন্ন হইয়াছিলেন । তিনিও র্তাহাদের আশ্রয় দান করিতেন এবং যথোচিত বৃত্তির ব্যবস্থা করিয়া দিয়া বিদ্যোৎসাহিতার পরিচয় দিতেন। বাদশাহ দরবারে প্রতাপ নিজেই কিরূপে সমস্ত পূরণ করিয়াছিলেন, সে গল্প পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। তাছার নিজের রাজসভায় সেইরূপ সমাগত পণ্ডিতেরা সমস্ত পূর্ণ ও নানাবিধ দার্শনিক তর্ক করিতেন। গুরুদেব কমল নয়ন তর্কপঞ্চানন ইহাদের সকলের অগ্রণী ছিলেন ; তিনিই সাধারণতঃ দুই পক্ষের শাস্ত্র বিচারে মধ্যস্থত করিতেন। তবে তিনি অধিক দিন জীবিত ছিলেন না। সম্ভবতঃ ১৫৯৯ খৃঃ অব্দের পূৰ্ব্বেই তাহার মৃত্যু ঘটে । অন্তান্ত সভাপণ্ডিতগণের মধ্যে অবিলম্ব সরস্বতী ও কবি ডিমডিম সরস্বতী নামক দুই ভ্রাতার কথা শুনিতে পাওয়া যায়। উভয়ই অসাধারণ পণ্ডিত ছিলেন । তন্মধ্যে একজন মুখে মুখে বড় দ্রুত কবিতা বচন করিতে পারিতেন, এজন্ত র্তাহার উপাধি হয়-অবিলম্ব সরস্বতী । অন্ত জন দর্শনশাস্ত্রে আরও বড় পণ্ডিত হইলেও শ্লোক-রচনার বেলায় ভ্রাতার মত দ্রুত কবি ছিলেন না, এজষ্ঠ তাহাকে লোকে বলিত কবি ডিমডিম্। এ দুইটি উপাধি মাত্র : তাহদের প্রকৃত নাম জানা যায় নাই। সরস্বতী উপাধি র্তাঙ্গদের কয়েক পুরুষ হইতে চলিয়া আসিতেছিল । - প্রতাপাদিত্যের যশোকীর্তনে মুগ্ধ হইয়া দারিদ্র্য-ক্লিষ্ট অবিলম্ব সরস্বতী একদিন রাজমগুপে উপস্থিত চইয়া বলিয়াছিলেন ঃ “প্রতাপাদিত্য ভূপাল ভালং মম নিভালয়। স্বেদেন প্রোঞ্ছিত সস্তু বিধেছু লেখ-পংক্রয়ঃ " ॥ হে মহারাজ প্রতাপাদিত্য, একবার আমার কপালের প্রতি দৃষ্টিপাত কর। তুমি আদিত্যস্বরূপ, তোমার দৃষ্টিমাত্র কপালে দর দর ধারায় ঘৰ্ম্ম বহিবে এবং উহ! দ্বারা আমার পোড়া কপালের বিধিলিপি ধুইয়া মুছিয়া যাইবে, অর্থাৎ মহারাজ আপনার কৃপাদৃষ্টি পাইলে আমার দুরদৃষ্ট ঘুচিবে। প্রতাপকে এইরূপে আদিত্য বা সূৰ্য্য করন করিয়া তিনি অল্প সময়ে আরও অনেক কবিতা রচনা করিয়াছিলেন, তন্মধ্যে কবিকলা-কৌশলের গুণে একটি কবিতা এখনও সুধী-সমাজে আত্মরক্ষ। করিয়াছে। তাহা এই – ' wo