বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উড়িষ্যাভিযান ও বিগ্ৰহ-প্রতিষ্ঠা &8సి একেবারে পরিত্যাজ্য নহে। তিনি পারসীক ভাষার লিখিত বিবরণী দেখিয়া পুস্তক লিখিয়াছেন, এইরূপই স্বীকার করিয়াছেন। বিশেষতঃ আজম ও ইব্রাহিমের সহিত যুদ্ধের কথা লোক পরম্পরায় চলিয়া না আসিলে, ঘটকেরাই বা কোথায় পাইলেন ? স্বতরাং যুদ্ধ হওয়া অসম্ভব নহে এবং সংগ্রামপুর স্থানের নামটিও তাহার ইঙ্গিত করে। তবে যুদ্ধ হইয়া থাকিলেও যে পরে উভয় পক্ষে সন্ধি স্থাপিত হইয়াছিল, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। কারণ ইহার পরেও অনেক দিন পর্য্যন্ত প্রতাপাদিত্য যে মোগলের বহুত স্বীকার করিতেন, তাহার প্রমাণ আছে। আমাদের বিশ্বাস, ধুমঘাটে নূতন রাজধানী করিয়া শাসন করিবার সময়ও তিনি সামন্ত রাজা ছিলেন এবং তদনুসারে রাজসরকারে কিছু কিছু পেশকশ বা উপহার প্রেরণ করিতেন । কিন্তু সে শুধু বাহ নিদর্শন মাত্র, রাজ্য মধ্যে তিনি স্বাধীন রাজার মতই চলিতেন । এমন সময়ে (১৫৯১ খ্ৰীঃ) উড়িষ্যার পাঠানগণ পুনরায় বিদ্রোহী হয়। তাহারা জগন্নাথের মন্দির অধিকার করিয়া লইয়া ক্রমে কটক ও জলেশ্বরের দিকে অগ্রসর হইতে থাকে এবং অবশেষে বিষ্ণুপুরের ভূঞা হাম্বীর মপ্লের রাজ্য আক্রমণ করিয়া বসে। * শুধু আক্রমণ নহে, এমন ভাবে গ্রামের পর গ্রাম লুণ্ঠন করিয়া দেশ ছারখার করিতে থাকে যে, প্রজাকুল একান্ত ব্যাকুল হইয়া হাম্বীরের কৃপাপ্রার্থ হয়। তখন মানসিংহ বঙ্গের শাসন-কর্তা ; কিন্তু তিনি এদেশের আবহাওয়ার প্রতি এতই বীতশ্রদ্ধ যে, নিজে বিহারেই থাকিতেন, সৈয়দ খাঁ রাজধানী তাণ্ডায় থাকিয়া তাহার সহকারীস্বরূপ বঙ্গ শাসন করিতেন । } হান্ধীর মল্ল সৰ্ব্বপ্রথমে পাঠান বিদ্রোহের কথা মানসিংহ ও সৈয়দ খাকে জানাইলেন। মানসিংহ হাৰীরের প্রতি সদয় ছিলেন। কারণ, হাম্বীর বহুকাল পৰ্য্যন্ত আকবরের অনুরক্ত সামন্ত রাজ ছিলেন। বিশেষতঃ কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে যখন কতলু খাঁর সৈন্যদল মানসিংহের জ্যেষ্ঠপুত্র জগংসিংহকে পরাজিত ও আহত করেন, তখন হাৰীর মল্লই তাহাকে বিষ্ণুপুর লইয়া আশ্রয় দেন তাহার প্রাণ রক্ষা করেন। } সে কথা মানসিংহের মনে ছিল। তিনি

  • Akbarnama (Beveridge), Vol. Hit P 934, † Stewart, History of Bengal, p. aos (Bangabasi Edition) * Akbarnama (Bev.), Vol. III. p. 879, Elliot, Vol. VI. p. 86.

Nశి s 缓