পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇసిe যশোহর-খুলনার ইতিহাস ইচ্ছামতীর কূলে পৰ্টুগীজদিগের পল্লী ছিল, সেখানে এখনও মৃত্তিকার নিয়ে ৰছ ংখ্যক কবর দেখিতে পাওয়া যায়। ফনসেক ঐ স্থানে একটি গীর্জা নিৰ্ম্মাণের জন্য অনুমতি প্রার্থনা করিলেন। ১৬০০ খৃষ্টাব্দের ২০শে জানুয়ারী তারিখে ফসেকা গোয়াতে পাইমেন্টার নিকট যে পত্র লিখেন তাহ হইতে আমর পাই :-"তিনি আমাদিগকে এত মান্ত করিলেন যে, আমাদিগকে দেখিবামাত্র নিজ সিংহাসন ছাড়িয়া দাড়াইয়া মাথা নত করিলেন। ইহার কারণ এই যে, এদেশের লোকের ব্রহ্মচর্যাকে (chastete', অত্যন্ত ভক্তি করে এবং ইনি, আমরা পূর্ণ ব্রহ্মচৰ্য্য রক্ষা করি শুনিয়া, আমাদের সম্বন্ধে অতি উচ্চ মত পোষণ করিয়াছেন। আমাদের বাসার কাছে একটা বড় জায়গা আছে। আমরা রাজার কাছে সেটি চাহিলাম, কারণ যাহাদিগকে আমরা খৃষ্টান করিব তাহাদিগকে সেখানে বাস করাইলে, তাহাদিগকে অতি সহজে সাহায্য করিতে ও ধৰ্ম্মপথে রাখিতে পারিব। তিনি তৎক্ষণাৎ এ প্রার্থনা মঞ্জুর করিয়৷ এ সম্বন্ধে একথান ফৰ্ম্মাণ শীঘ্র প্রস্তুত করিতে বলিলেন এবং আজ্ঞা দিলেন যে, ঐ বাড়ীতে যে সব হিন্দু (অর্থাৎ নূতন খৃষ্টানের ) বাস করবে, তাহারা যে কর দিত, তাছা আমাদিগকে দিবে।” • এই সনন্দ পাইবা মাত্র গীর্জ নিৰ্ম্মাশের কার্য্যারম্ভ হইল। রাজানুগ্রহ লাভ করিলে রাজ্যমধ্যে অর্থ-সংগ্ৰহ বা কাৰ্য্য-সাধনের ব্যাঘাত হয় না ; বিশেষতঃ বহু পটুগীজ, তখন সৈন্যদলে ও নানা বিভাগে চাকরী করিতেছিল। তাহার সানন্দে প্রচুর অর্থ আনিয়া দিল ; স্বকীয় ধৰ্ম্মের জন্য সকল জাতিই উন্মুক্তহস্ত হইয় থাকে। রাজাও যথেষ্ট মালপত্র দিয়া সাহায্য করিলেন। পাদরীগণের ঐকান্তিক চেষ্টায় অতি দ্রুতভাবে কাৰ্য্য চালাইয়া প্রায় একমাস কাল মধ্যে গীর্জা প্রস্তুত করা হইল। ১৫৯৯ খৃষ্টাব্দে নভেম্বর মাসের শেষভাগে ফনসেকা যশোহরে আসেন । সেই বৎসর ডিসেম্বর মধ্যেই গীর্জার কার্য্য শেষ হয়। ফনসেকার পত্রেই আছে ? -“বঙ্গদেশে জেসুইটদিগের সর্বপ্রথম গীজ এইখানে প্রস্তুত হয় এবং ইহাকে ধীশুর গীর্জ নাম দেওয়া হইল। পোর্বুগীজদিগের সাহায্যে এই গীর্জা খুব জাকজমক সহকারে সাজান হইল এবং ১লা জানুয়ারীতে খুব ধূমধামের সহিত উপাসনা করা হইল। চারিদিকে ইহার নাম পড়িয়া গেল । * * * . প্রবাসী, ১৩২৮ আবাঢ়, ৩২২ পৃঃ (অধ্যাপক বছুনাথ সরকারের অনুবাদ ) । ।