পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२*७8 যশোহর-খুলনার ইতিহাস জষ্ঠষ্ট বিখ্যাত, তাহা নহে ; ইহা পৃষ্ঠানদিগেরও এতদেশীয় আদি ধৰ্ম্মপীঠ বলিয়া চিবপবিত্র হক্টয়া রহিয়াছে। সে পবিত্র পীঠের স্মৃতিরক্ষা করিবার জন্ত কি কেহ নাই ? যে স্থানটিতে গাচীন গীর্জার ভগ্নাবশেষ এখনও বিলুপ্ত হয় নাই, সেখানে কোন গীর্জা নিৰ্ম্মাণ করা হউক বা না হউক, স্থানটি অবিলম্বে কোন স্তম্ভফলক দ্বারা চিহ্ণিত ও স্মরণীয় করিয়া রাখা কৰ্ত্তব্য। ভারত গভর্ণমেণ্টের প্রাচীন কীৰ্ত্তি-রক্ষণবিভাগের দৃষ্টি কি এদিকে পড়িবে না? এই প্রাচীন কীৰ্ত্তি রক্ষার জন্ত স্থানীয় হিন্দু মুসলমানের যে সহানুভূতি নাই, তাহা নহে ; তবে খৃষ্ঠানদিগেরই এবিষয়ে অগ্রণী হইয়। কার্ধ। করা উচিত। অনেক খৃষ্ট ধৰ্ম্মাবলম্বী উচ্চপদস্থ রাজকৰ্ম্মচারী বা মিশনর খুলনায় থাকেন, তাহার এবং বিভাগীয় কমিশনার প্রভৃতি আরও অনেকে ঈশ্বরীপুরেব প্রাচীন কীৰ্ত্তি দর্শন করিতে আসিয়া থাকেন, অক্লান্ত-কৰ্ম্মী বন্ধুবর শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীশচন্দ্র অধিকারী মহাশয় সকল পরিদর্শকেরই দৃষ্টি এদিকে আকৃষ্ট করিতে কখনও বিরত হন না। তাহার কেহ কেহ একবার সামান্ত উদ্যোগ করিলেই অনায়াসে প্রস্তাবিত প্রস্তর-ফলক রক্ষা করিতে পারেন। শ্ৰীযুক্ত ফক্নার সাহেব আমাদের সহিত একমত হইয়া এই গীর্জা সম্বন্ধে যে স্বমত প্রকাশ করিয়াছেন, তাহ উদ্ধৃত করিয়াছি । কলিকাতার সেণ্ট জেভিয়ার কলেজের অধ্যাপক, প্রসিদ্ধ জেসুইট ধৰ্ম্মযাজক ফাদার হোষ্টেন Rev. H. Hosten, S J.) এই জাতীয় ঐতিহাসিক লুপ্ত রত্বের সমুদ্ধারকল্পে যে অক্লাস্ত শ্রম করিতেছেন, ব্যাণ্ডেলের প্রাচীন কীৰ্ত্তি আবিষ্কারের জন্য * যেরূপ একাগ্র চেষ্টা করিয়াছেন, তাহা সুধীসমাজে সুপরিচিত। তিনিই পুরোহিতের মত অগ্রণী হইয়া ঈশ্বরীপুর দর্শন করতঃ গীর্জার স্থান নির্দেশ ও স্মারকস্তম্ভ-প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করিবেন, ইহাই আমাদের একান্ত প্রথনীয়। রাজামুগ্রহ লাভ করিয়া পাদরীর যশোহরে পরম মুখে বাস করিতেছিলেন, ইছ বেশ বুঝা যায়। গীর্জ নিৰ্ম্মাণের পর প্রায় দুই বৎসর কাল এইরূপ সদ্ভাব ছিল। ১৬•• খৃঃ অন্ধের জানুয়ারীর প্রথমভাগে গীর্জা প্রতিষ্ঠার দিনে উছ যেমন করিয়া সাজান হইয়াছিল, পর বৎসর (১৬০১) ঠিক ঐ তিথিতে পুনরায় ঐরূপ একটি বাৎসরিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। রাজাজ্ঞায় যুবরাজ উদয়াদিত্য এবং

  • "A week at the Bandel Convent” (H. Hosten), Bengal Past and Present, 1915 pp. 36-12o.