পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠান রাজত্বের শেষ ృ(t এই সময়ে গুজার কররাণী * নামক একজন সেনাপতি বিহার অঞ্চলে লায়াজিদের পুত্রকে রাজা বলিয়া ঘোষণা করিলেন এবং মোগল পক্ষ অবলম্বন করিয়া গোরক্ষপুর হস্তগত করিবার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু লোদী খার বুদ্ধিকৌশলে অচিরে তাহার সকল চেষ্টা বিফল হইল। বস্তুতঃ লোদী খার মত সুচতুর ও শক্তিশালী সেনাপতি পাওয়া দাযুদের পক্ষে সৌভাগ্যের কথা। যতদিন দাযুদ্র তাহার মন্ত্ৰণামত চলিয়াছিলেন, ততদিন আত্মরক্ষায় সমর্থ হইয়াছিলেন। কিন্তু দায়ুদ রাজতক্তে বসিয়া যখন অপরিমিত ধনসমৃদ্ধি ও সৈন্যবল দেখিলেন, তখন একেবারে আত্মহারা হইয়া পড়িলেন । সুলেমান সেনাপতি কালাপাহাড়ের সাহায্যে যে ভাবে রাজ্য বিস্তার ও দেশ লুণ্ঠন করিয়া ধনরত্ব সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন, তাহাতে বাস্তবিকই গৌড়নগরী অলকাপুরী হইয়াছিল। প্রকৃত পক্ষে পাঠানেরা বহুকাল হইতে বঙ্গে একাধিপত্য করিয়া আপনাদিগকে প্রকৃত মালিক স্থির করিয়া বসিয়াছিলেন ; তাহারা নবাগত মোগলের উদ্যম, অধাবসায়, রাজবুদ্ধি ও বীৰ্য্যপ্রতিভার মাত্রা স্থির করিতে পারেন নাই। দায়ুদ রাজা হইয়াই নিজ নামে থোৎবা পাঠ করাইতে লাগিলেন এবং নিজনামে মুদ্র প্রচলন করিলেন। এই মুদ্রা এখনও যশোহর খুলনা অঞ্চলে যেখানে সেখানে পাওয়া যায়। স্থলেমান কাৰ্য্যতঃ বঙ্গে স্বাধীন হইয়া স্বাধীন নৃপতির মত রাজ্যজয় করিতে থাকিলেও প্রকাতে আকবরের বঙ্গত স্বীকার করিয়া মোগল শত্রুর আক্রমণ হইতে দেশ রক্ষা করিয়াছিলেন। বায়াজিদ সিংহাসন পাইয়াই শাহ উপাধি ধরিলেন এবং নিজ নামে থোংবা পড়াইতে লাগিলেন। দায়ুদ আরও একটু অগ্রসর হইয়া নিজনামে মুদ্রাও প্রচলন করিলেন। স্বাধীনতা ঘোষণার এমন প্রকাষ্ঠ পন্থা আর নাই । দাযুদই পাঠান আমলের শেষ রাজা। দাযুদের সময়েই যশোর রাজ্য প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়। কালে সেই যশোর রাজ্য ভাঙ্গিয় চুরিয়া আধুনিক সময়ের যশোহর ও খুলনা এই দুই জেল হইয়াছে। আমরা যে যশোহর-খুলনার ইতিহাস লইয়া ব্যস্ত, প্রাচীন যশোর রাজ্যের উত্থানপতনের সহিত তাহ ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ-যুক্ত। মঙ্গরাজ প্রতাপাদিতোর পিতা বিক্রমাদিত্য ও খুল্লতাত বসন্ত রায় এই যশোর রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। তাহারা উভয়ে দাযুদের রাজত্বকালে প্রধান কৰ্ম্মচারী

  • १झाँक्र कब्रब्रॉठी ब्रभंभत्र झिtजब ।। “Gujar Kararani who was the sword of the country set up in Behar the son of Bayazid.” Akbarnama, Vol. III p. 28.