পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোহরের ফৌজদারগণ 88Ᏹ পারস্তাধিপতি শাহ তমাম্পের ভ্রাতুষ্পুত্ৰ—সুলতান হোসেন মীর্জা। তৎপুত্র রন্তম মীর্জা আকবরের সময়ে পাঁচ হাজারী মনসবদার এবং মুলতানের স্ববাদার ছিলেন । বঙ্গের নবাব শাহমুজ এই রস্তমের জামাত । রস্তমের তৃতীয় পুত্র মীর্জ হুসেন সাফাবি কচ্ছের শাসনকর্তা ছিলেন। ১৬৪৯ অব্দে তাহার মৃত্যু হইলে বঙ্গাধিপ শাহ মুজা শু্যালকপুত্র মীর্জা সাফসিকানকে যশোহরের ফৌজদার করিয়া পাঠান। • সরফরাজপুরে বাস করা তাহার পছন্দ হইল না। তিনি আরও উত্তর দিকে যেখানে ভদ্র নদী কপোতাক্ষী হইতে বহির্গত হইয়া ত্রিমোহানার স্বষ্টি করিয়াছিল, সেই ত্রিমোহানী নামক স্থানের সন্নিকটে নিজ আবাসবাটী নিৰ্ম্মাণ করিয়া বাস করিলেন। মীর্জার স্মরণচিহ্ন স্বরূপ সেই সময় হইতে উক্ত স্থানের নাম হইল মীর্জানগর। ত্রিমোহানী হইতে পূৰ্ব্ব দিকে কেশবপুরে যাইবার পথে আধ মাইল দূরে রাস্তার পার্শ্বে এখন মীর্জানগরের “নবাব বাড়ার” ভগ্নাবশেষ আছে। এখন যেমন মোহানার কাছে মৃতভদ্রের খাত খুজিয়া পাওয়াও দুষ্কর হইয়াছে, তখন তাহ ছিল না । তখন ভদ্র মঙ্গলবারের মত বিপরীতাৰ্থবোধক, তরঙ্গসস্কুল প্রবল নদী। এই নদীর জলে ছায়াপাত করিয়া নবাববাড়ী নিশ্চয়ই ছবির মত সুন্দর ছিল । এখন তাহার কিছুই নাই। ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দে ঐযুক্ত ওয়েষ্টল্যাণ্ড সাহেব যে বিবরণ দিয়া গিয়াছেন, তাহাও এখন মিলাইয়া লওয়া যায় না। ভদ্র নদীর কূল হইতেই নবাব বাড়ী আরব্ধ, প্রথমেই ভৃত্যদিগের বাসোপযোগী কতকগুলি পাক৷ ঘর, উহার মধ্য দিয়াই প্রবেশ পথ ছিল। প্রবেশ করিলেই সন্থৰুে উত্তর দক্ষিণে হুইটি চত্বর ; উভয়ের মধ্যস্থলে এবং উত্তরের প্রাঙ্গণের উত্তরে ও দক্ষিণের প্রাঙ্গণের দক্ষিণে উচ্চ প্রাচীর ছিল, এখন তাহার চিহ্নমাত্র আছে। উত্তর প্রাঙ্গণের পশ্চিমদিকে যে তিন গুম্বজওয়াল গৃহটিকে ওয়েষ্টল্যাণ্ড সাহেব প্রকৃত বাসগৃহ মনে করিয়াছেন, আমাদের নিকট তাহ মসজিদ বলিয়া বোধ হয় এবং উহার সন্মুখস্থিত ইষ্টকগ্রথিত চৌবাচ্চাকে আমরা স্নানের স্থান না বুঝিয়া, নমাজ করিবার জন্ত হস্ত পদ ধৌত করিবার জলাধার মনে করি। সকল মসজিদের মত উক্ত গৃহের পশ্চিমদিকে কোন দরজা নাই, বাসঘর হইলে সেরূপ হইত না । উহার পূর্বদিকে তিনটি এবং দক্ষিণে একটি দরজা আছে। মসজিদটির ভিতরের

  • Ain, Bloch, p. 315 : Rear, pp. 181, t97 ; Jessore Gezetteer p. 158.

¢ፃ