ఇ9 যশোহর-খুলনার ইতিহাস বা দুর্গানন্দ ব্রহ্মচারী কর্তৃক দশমহাবিদ্যা ও আরও কয়েকটি দেব বিগ্রহের প্রতিষ্ঠা ও উহাদের জন্য মন্দির নিৰ্ম্মিত হয়। শুকদেব ও র্তাহার পৌত্র রাজা প্রকষ্ঠ রায় এই সকল দেব দেবীর সেবার জন্ত যথেষ্ট নিম্বর বৃত্তির ব্যবস্থা করিয়ছিলেন । সে কথা পরে বলিতেছি। যশোহরের সন্নিকটে এই দশমহাবিষ্কার বাট একটি বিশেষ দ্রষ্টব্য স্থান এবং ইহা হিন্দুর নিকট একটি তীর্থক্ষেত্রে পরিণত হইয়া রহিয়াছে। শুকদেবের পর রাজা হন তৎপুত্র নীলকণ্ঠ । তিনি অবং বার আন সম্পত্তির মালিক। . তাহার রাজত্ব কাল ১৭৪৫-১৭৬৪ অর্থাৎ ১৯ বৎসর। র্তাহার সময়ে শুামসুন্দর রায় আরও ৫ বৎসর কাল চারি অান অংশ ভোগ করেন। ১৭৫০ অব্দে তাহার মৃত্যুর পর তৎপুত্র রামগোপাল রায় সম্পত্তির অধিকারী হন। তিনি আরও ৭ বৎসর কাল জীবিত থাকিয়া নিঃসন্তান অবস্থায় মৃত্যুমুখে পতিত হন (১৭৫৭ )। তামসুন্দরের আমল হইতে এই সম্পত্তির রাজস্ব অনেক বাকী পড়ে। বর্গীর হাঙ্গামার সময়ে নবাব আলিবর্দী খাঁ সমস্ত জমিদারদিগের নিকট হইতে রাজস্ব বাদেও যুদ্ধের খরচ বাবদ যথেষ্ট টাক আদায় করিয়া লইয়াছিলেন । এজন্ত রামগোপালের ষ্টেট অত্যন্ত দায়িক হয়। তাহার সৰ্ব্বেসৰ্ব্বা নায়েব রঘুরাম ঘোষ উহার কোন কিনারা করিতে পারিতেছিলেন না। এই সময় বঙ্গদেশের বিষম বিপ্লবের যুগ। আলিবর্দীর প্রিয় দৌহিত্র সিরাজ উদ্দৌলা তখন নবাব। তাছার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রের স্বষ্টি হয়, উহা বঙ্গেতিহাসের প্রধান ঘটনা। উহারই ফলে পলাশীর যুদ্ধে ইংরাজদিগের হস্তে র্তাহার পরাজয় ঘটে। তিনি রাজ্যচ্যুত হইয়া পলায়ন করিবার পর ধৃত ও নৃশংসরুপে নিহত হন। তখন মীর জাফর আলি খ নবাবতক্তে বসিয়া পূৰ্ব্ব চক্রান্তের সর্বানুসারে ইংরাজদিগের সহিত সন্ধি করেন । এবং তাহাদিগকে র্তাহাদেরই নিৰ্ব্বাচন মত কলিকাতার সন্নিকটবৰ্ত্তা ২৪টি পরগণার জমিদারী অর্পণ করেন ( ১৭৫৭, ২০শে ডিসেম্বর ) । ঐ সম্পত্তির মধ্যে কলিকাতাব নিকটবৰ্ত্ত কয়েকটি স্থানে হুগলীর ফৌজদার মীর্জ মহম্মদ সালাহ-উদ্দীনের জায়গীর ছিল । সুতরাং তাঁহাকে উহার বদলে অন্যত্র সম্পত্তি দেওয়াব প্রয়োজন হইয়াছিল। এমন সময়ে রামগোপাল রায়ের মৃত্যু সংবাদ পাইয়৷ নলাৰ তাহার চারি আনার জমিদারী বাজেয়াপ্ত করিয়া লইয়৷ উছ
পাতা:যশোহর-খুল্নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৭০
অবয়ব