সীতারামের রাজ্যবিস্তার - (tも〉 এবং তাছাতেই মনোহরের দিব্যজ্ঞান আসিয়াছিল। তবে যাহাকে প্রকৃত যুদ্ধ বলে, তাহ হয় নাই। যন্থখালিতে পথ বন্ধ, অপর পারে কামান সজ্জিত, সীতারামের সৈন্ত সংখ্যা ক্রমেই বৰ্দ্ধিত হইতেছিল—এই সব দেখিয়া মনোহর দেওয়ানের সঙ্গে একটা মিটমাটু করতঃ রাত্রিযোগে সদলবলে প্রত্যাবর্তন করিলেন। হয়তঃ উহার পর, গতানুশোচনা ভুলাইবার উদ্দেশ্রে, সীতারামের সঙ্গে কিছু অন্তরঙ্গত দেখাইবার ছলে কস্তার বিবাহ উপলক্ষে তাছাকে চাচড়ার বাড়ীতে পদার্পণ করিবার জন্য নিমন্ত্ৰণ করিয়া পাঠাইয়াছিলেন। সীতারাম তখনও রাজধানীতে অনুপস্থিত, সুতরাং মির্দিষ্ট দিনে আসিলেন না বা কোন উত্তরও দিলেন না। যখন রাজধানীতে ফিরিয়া সকল অবস্থা স্বকৰ্ণে শুনিলেন, তখন মনোহরের দৰ্প চূর্ণ করিবার জন্ত ক্রোধান্ধ হইলেন। এই সময়ে তিনি কিরূপে সসৈন্তে ভৈরবকুলে বর্তমান নীলগঞ্জের অপর পারে ঝুমঝুম্পুরে উপনীত হইয়৷ মনোহরের নিকট সংবাদ পাঠান, কি ভাবে তাহার প্রেরিত লোকেয় সহিত কঠোর ব্যবহার করেন এবং অবশেষে মনোহর বহুত স্বীকার করিলে কিরূপ সন্ধি হইয়াছিল, তাহ আমরা পূৰ্ব্বে বর্ণনা করিয়াছি (৪৮৭-৮ পৃ: )। গীতারাম সে সময়ে যেখানে আসিয়া ছাউনী করেন, এখনও ঝুমঝুম্পুরের সে অংশকে “কেল্লার মাঠ" বলে । * সীতারাম বহু পূৰ্ব্বে সুন্দরবনের আবাদী সনন্দ পাইয়াছিলেন। উছার জষ্ট তাহাকে যেমন কয়েক বৎসর কোন রাজস্ব দিতে হয় হয় নাই, তেমনি সে মহল হইতে আরও বিশেষ কিছু হয় নাই। কারণ সে অঞ্চল শাসনে রাখা সহজ নছে। কোন স্থানে প্রজা বিদ্রোহী হইলে, দূর হইতে সৈন্যদল লইয়া গিয়া শাসন করিয়া আসিতে হইত ; জলের রেখার মত সে শাসনের চিহ্ন বেশী দিন থাকিত না । সুন্দরবনের মধ্যে শিবসা নদীর পশ্চিমাংশ যশোহরের ফৌজদারের শাসনাধীন ছিল ; সীতারাম কেবল মাত্র উহার পূর্বাংশে অর্থাং বর্তমান বাগেরহাটের দক্ষিণ ভাগে আধিপত্য বিস্তার করিয়াছিলেন। সে দিকে সমূর্বর আবাদ সমূহের মধ্যে অবস্থিত রামপাল একটি প্রধান স্থান। ১১৯৭ সালের (১৭১• খৃঃ) প্রারম্ভে সীতারাম সংবাদ পাইলেন যে ঐ স্থানের প্রজাবৰ্গ ١ :n ده د ,هه ,x ss» رNstatr۰ ( ۹s stg:" * כף
পাতা:যশোহর-খুল্নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৬৫
অবয়ব