পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Be B যশোহর-খুলনার ইতিহাস হইয়াছিল বলিয় তাহার মৃত্যু রটনা করা হয় । ইংরাজ কোম্পানি জাফর খাকে বড় ভয় করিতেন, কারণ তিনি উহাদের প্রতি বড় বিরক্ত ছিলেন, সুযোগ পাইব মাত্র বাণিজ্য ব্যবসার স্বত্রে উহাদিগকে লাঞ্ছিত করিতেন। সুতরাং মীৰ নাসিরের আদেশ প্রতিপালন না করিলে, নবাব যে কোম্পানির উপর উৎপীড়ন করিবার নূতন ছল খুজিয়া পাইবেন, তাহাতে সন্দেহ নাই। এজন্ত কোম্পানিব লোকের সীতারামের পরিবারবর্গকে ধরিয়া দিবার জন্ত একশত টাকা পুরস্কার ঘোষণা করিলেন এবং সকলে মিলিয়া উহাদিগকে খুজিয়া বাহির করিবার জন্থ প্রাণপণ চেষ্টা করিতে লাগিলেন। চারিদিকে এই ব্যাপার লইয়া একটা হুলুস্থল পড়িয়া গেল। অবশেষে কোম্পানির অধীন গোবিন্দপুরের পাটোয়ার বা গোমস্ত রামনাথের বাড়ীতে উক্ত পরিবারবর্গের সন্ধান পাওয়া গেল। রামনাথ উহাদের সম্পর্কিত আত্মীয় ছিলেন। তৎক্ষণাৎ হুগলীর ফৌজদারের নিকট সংবাদ দেওয়া হইল। তিনি সাহেব রায় নামক একজন কৰ্ম্মচারীকে কতকগুলি বরকৃন্দাজসই কলিকাতায় পাঠাইলেন। সকলের সম্মুখে উহাদিগকে ধরা হইল এবং কাজিব উপস্থিতিতে প্রাপ্ত জিনিস পত্র ও ধনরত্বের তালিকায় উপযুক্ত সাক্ষীর দস্তখত করান হইল, পাছে নবাব কোম্পানির লোকের উপর কোন সন্দেহ করেন । ১৭১৪ অব্দের ৫ই মার্চ তারিখে সীতারামের পরিবারদিগকে প্রহরিবেষ্টিত করিয়া নৌকাযোগে হুগলী পাঠান হইল ; ৭ই তারিখে প্রহরীরা ফিরিয়া আসিয়া নিরাপদে পৌছাইবার সংবাদ দিল এবং মীর নাসিরের সন্তুষ্টির কথা বলিল । মীর নাসির অবিলম্বে উহাদিগকে মুর্শিদাবাদে পঠাইয় দেন। তখনও সীতারাম কারাগারে জীবিত ছিলেন, র্তাহার রাজ্য প্রতাপিত হইবে কিনা তদ্বিষয়ে কথাবাৰ্ত্ত উঠিয়াছিল। মুর্শিদকুলি খা উক্ত পরিবারবর্গের ধনসম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিয়া লইয়। তাহাদিগকে নিস্কৃতি দিয়াছিলেন বলিয়া বিশ্বাস কবিতে পারি। ইহার কয়েকটি কারণ আছে। প্রথমতঃ মুর্শিদকুলি খাঁ কাহারও পরিবারভুক্ত স্ত্রীলোকের উপর অত্যাচার করিয়াছিলেন বলিয়া জানা যায় না। র্তাহার নৈতিক চরিত্র নিষ্কলঙ্ক ছিল ; “তিনি তাহার একমাত্র বিবাহিত পত্নীতে অনুরক্ত ছিলেন।” • দ্বিতীয়ত: তারিখ-বাঙ্গালা হইতে দেখা যায়, তিনি

  • भूर्निनावांtष१ इंडिहन, ४१७५ः, नकtदौ यांमज *११ः