यात्र बांबडू## 鲍” প্রতাপাদিত্য-আমরা এ পর্যন্ত একাদশজন ভুঞার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়াছি, এখন অবশিষ্ট মাত্র প্রতাপাদিত্য ; ইনি ভুঞাগণের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা ৰিশিষ্ট এবং বীরত্বেও রাজশক্তি পরিচালনায় সৰ্ব্বাশ্রগণ্য। ইহারই জন্য এক সময় স্বশোচুর প্রাচীম গৌড়ের যশঃ হরণ করিয়া “যশোহর” হইয়াছিল ; মোগল আমলের যশোহরের ইতিহাসে ইনিই প্রধান ব্যক্তি। আমরা এখন যশোহর-খুলনার যে যুগের ইতিহাস লইয়া ব্যাপৃত, তাহাকে প্রতাপাদিত্যের ইতিহাস ৰলিলে অত্যুক্তি হইবে না। ২৫ বৎসর মাত্র প্রতাপাদিত্যের রাজত্বকাল বা বীরত্বের যুগ হইলেও, পরবর্তী দুইশত বৎসর ধরিয়া তাহার এবং তদীয় সেনাপতিবর্গের কীৰ্ত্তিকাহিনী এমন করিয়া যশোহর-খুলনার অঙ্ক অলঙ্কত করিয়া রাথিয়াছে, তাহাদেৱ প্ৰতিজ্ঞ ও প্রতিপত্তি এমনভাবে এদেশের সমাজকে অনুপ্রাণিত বা স্মৃতিমুগ্ধ কৰিয়া রাখিয়াছে, যে যশোহর-খুলনা যেন “প্রতাপময়” হইয়া গিয়াছে। এইজন্ত পৱৰী অধ্যায় হইতে অপেক্ষাকৃত বিস্তৃতভাবে আমরা প্রতাপের কথা ললিৰ। প্লজাপের কথা বলিতে গিয়া আমাদিগকে স্থানে স্থানে প্রসঙ্গতঃ ভূঞা ৰাজগণেৰ কথা উল্লেখ করিতে হইবে। সেজন্ত এ অধ্যায়ে প্রধান প্রধান ভুঞাগণের পরিচর মাত্র দিয়া ব্রাথিলাষ । মোগলের বিপক্ষতাচরণ করাই ভুঞারাজগণের প্রধান উদ্দেশু এবং এইজন্ত তাহাজের সমবেত চেষ্টা নিয়োজিত হইয়াছিল। নতুবা তাহাদের মধ্যে পরস্পরের কোন প্রকার মিলন বা সহানুভূতি ছিল না। তাহদের সকলেই কোনও না কোন ভাবে পাঠান নৃপতিদিগের নিকট অমুগৃহীত ছিলেন ; মোগলের আক্রমণে ৰঙ্গম পাঠানের ক্রমে ক্রমে বঙ্গ হইতে উৎখাত হইতেছিল, তখন তাহার এই দেশীয় রাজন্ত বা ভৌমিক গণের নিকট সাহায্যপ্রার্থ হন। ভূঞাগণ লবণের মৰ্য্যাদ রক্ষা করিৰার জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে অবতরণ করেন। সকলের এক উদ্বেগু, তাই তাহাদের মধ্যে ভিতরে ভিতরে একটা সম্পর্ক ছিল। সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তি বিশেলের জাগরিমা বা, জাতীয় প্রাধান্ত প্রতিষ্ঠার কল্পনা যে ছিল না, তাছা নছে ; তরে আত্মরক্ষা এবং পাঠানদিগকে সাহায্য করাই প্রধান সাধন হইয়াছিল। শুধু পশ্চিম দেশ হইতে আগত মোগল নহে, ভুঞাদিগের আরও শত্রু ছিল ; দক্ষিণ ও পূৰ্ব্বদিক হইতে আগত আরাকাণী মগ, এবং ফিরিঙ্গি বা পটুগীজ দস্থ্যগণের পাশবিক অত্যাচারে দেশ উৎসন্ন ও মনুষ্যশূন্ত হইয়া যাইতেছিল ; সকলের না
পাতা:যশোহর-খুল্নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৫
অবয়ব