পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোহর-খুলনার ইতিহাস وناسيما ১৭৬৫ অন্ধে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী বাদশাহ শাহ আলমের নিকট হইতে বঙ্গ বিহার উড়িষ্যার দেওয়ানী গ্রহণ করিলেন; তখন অর্থ আসিল ইংরাজের হস্তে, শাসন থাকিল চরিত্রহীন মজ্জাহীন স্বার্থসম্বন্ধহীন নবাবের হাতে। সুতরাং কড়াকড়ি করিয়া শুধু টাকাকড়িই আদায় হইত ; তাহারও কতক ইংরাজ কোম্পানীর হস্তে পৌছিত, কতক দেশীয় দুৰ্ব্বত্ত কৰ্ম্মচারীরা চুরী করিয়া খাইত; জবরদস্তি করিয়া অতিরিক্ত আদায়ের চাপ নিরীহ প্রজাবর্গের উপর পড়িয়া তাহাদিগকে নিঃস্ব ও নিরশ্ন করিয়া তুলিয়াছিল। ইহার উপর আবার প্রাকৃতিক বিপৰ্য্যয় বশতঃ অনাবৃষ্টি হওয়ায়, ১১৭৬ সালে (১৭৬৯ খৃ: ) ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামক ভীষণ দুর্ভিক্ষ দেখা দিল, উছাতে বঙ্গের এক-তৃতীয়াংশ লোক মৃত্যুমুখে পড়িল। ঐ দুর্ভিক্ষের প্রকোপ যশোহর-খুলনায়ও আসিয়াছিল ; যে অঞ্চলে “সকল ধান ২২ পাচারী” ( ১১০সের ) ছিল, সেখানেও এই “কাটা” মন্বন্তরে টাকায় দশসের করিয়া ধান্ত বিক্রয় হইয়াছিল। নদীমাতৃক দেশ বলিয়া লোকের একেবারে অন্নাভাব বা অতিরিক্ত প্রাণহানি হর নাই। * এই দুভিক্ষের পর ভারত-শাসনের উপর বিলাতের কর্তৃপক্ষের নজর পড়ে এবং নূতন বিধানানুসারে ওয়ারেণ হেষ্টিংস বঙ্গের গভর্ণর হইয় দেওয়ানী আফিস মুর্শিদাবাদ হইতে কলিকাতায় তুলিয়া আনেন । ১৭৭২ )। আসিয়াই তিনি রাজস্ব আদায়ের জন্ত স্থানে স্থানে কালেক্টর বা সংগ্রাহক নিযুক্ত করেন। কিন্তু খরচের ভয়ে শীঘ্রই সে প্রথা তুলিয়া দেওয়া হষ্টল। যশোহরে প্রায় দুই ৰৎসরকাল একজন কালেক্টর ছিলেন, কিন্তু তাহাকে তুলিয়া লওয়ায় কর সংগ্রহে গোলমাল ঘটিল। প্রকৃত পক্ষে ১৭৮১ অব্দের পূৰ্ব্বে, যশোহরে কোনই শাসন থাকিল না। নবাবী আমলে ভূষণ ও মীর্জানগর এই দুই স্থানে দুইজন ফৌজদার থাকিয় কর আদায়ের ব্যবস্থা করিতেন এবং অবস্থানুসারে যাহারা নবাবের প্রিয় পাত্র, সেই সব জমিদারগিকে প্রতিবেশীর সম্পত্তি নিজের সামিল কবির লইতে সাহায্য করিতেন। নবাবী শাসন গিয়াছে, কিন্তু বৃটিশ শাসন আসে নাই ; এই সন্ধিযুগে ফৌজদার না থাকায় অরাজক দেশে জমিদারেরাই সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব হইয় দাড়াইলেন। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি চাচড়ার সন্নিকটে প্রাচীন মুড়লীতে মুসলমান আমলের একটা শাসনকেন্দ্র ছিল। ১৭৮১ অব্দে ইংৰাজেরাও ঐ স্থানে একটি আদালত'

  • Khulna Gazetteer, P, 102