পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হীৰা গুরুগণ৷ ૧૨4 নাম “ছায়াপতি তালুক", এখনও উহ, গধপুরের চৌধুৰীগণ ভোগ করিতেছেন । * বিদ্যাধরের পুত্র রাজারাম ও মহাদেবের মধ্যে সম্পত্তি ॥y• ও vs আনায় বিভক্ত হয়। পাব বল্লভপুর নিবাসী পাণ্ডবা বন্ধ উদ্ধারে’ই ভ্রাতার পক্ষে মুর্শিদাবাদ নৰাব সরকারে মোক্তার ছিলেন; কথিত আছে, তিনি প্রেরিত রাজস্ব সময়মত জমা না দিয়া নিজ নামে হোগলা পরগণা বন্ধোৰন্ত করিয়া লন। তাহার পৌত্র কল্যাণ ও কৃষ্ণচন্ত্রের দুৰ্দ্ধান্ত অত্যাচারে চৌধুরীগণ লখপূর হইতে বিতাড়িত হই। নিকটবর্তী জড়িয়া গ্রামে বাস করেন ; তথা এখনও তাহাজের বাড়ী ও বেমন্দিরের ভাবশেষ আছে। কিন্তু অত্যাচারের ফল বেশী দিন বিলম্বিত হয় নাই । কল্যাশনারায়ণের জীবদ্দশাতেই বাকী করের জন্ত হোগলা জমিদারী হস্তচু্যত হইয়া যায়। তখন কাশুপ চৌধুরীবংশীয় রাজারামের পুত্ৰ কেশবরাম ও মহাদেবের পুত্র অনন্তরাম এই দুইজনে বহু চেষ্টার পর (আঃ ১৭৫৮ খৃঃ) হোগলার অর্থাংশ মাত্র পুনরায় বন্দোবস্ত করিয়া লইতে, পারিয়া ছিলেন ; অপর অৰ্দ্ধেক বেলফুলিয়া পরগণার তদানীন্তন ; ক্ষত্রিয় জমিদার কৃষ্ণসিংহ রায়ের নামে বন্দোবস্ত হয় । কেশবরামকে নষ্ট পরগণা দখল করিবার জন্ত যথেষ্ট গণ্ডগোলে পড়িতে হইয়াছিল, বমুচৌধুরীগণ সহজে দখল দেন নাই। এই কারণে যে অতিরিক্ত অর্থব্যয় হয়, তজ্জন্ত কেশবরাম প্রভৃতি নিজের অৰ্দ্ধাংশ অর্থাৎ সমগ্র পরগণার সিকি অংশ উক্ত কৃষ্ণসিংহ রায়ের জনৈক জ্ঞাতি মুড়াগাছার অন্তর্গত পাটাই নিবাসী জমিদার লক্ষ্মীনারায়ণ রায়কে বিক্রয় করেন যে লিকি অংশ অবশিষ্ট ছিল, তাছাও চিরস্থায়ী বনোবিস্তের পর” বাকী করে; নীলাম হওয়ায় ভূকৈলাসের রাজা বাহাদুর, কালীশঙ্কর ঘোষাল” খরিদ করেন । তাহার নিকট হইতে ঐ চতুর্থাংশ রেী সাহেবের হাতে আসে ' এবং পরে সম্প্রতি নড়াইলের বাবুর উহার মালিক হইয়াছেন। ” সেকথা পরে* বলিতেছি । এই বংশের দুই একটি ধারা দেখাইতেছি : “মহারাজ" সুরেশ্বর চট্টোপাধ্যায়-পশুপতি-বেদগৰ্ত্ত—রামচন্ত্ৰ-মহেঞ্জদেৰ । -কমলাকাগু—রজরঞ্জভ (বিষ্ঠাধর রায় চৌধুরী।

  • H. J. Raineys article on “sessors” in calcutts Review, 1878, P. 430. * *