পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ-স্বন্দরবান মন্থাবাল। br》 লাটে লাউডোব আবাদ। এখানে জমি বন্দোবস্ত ও রীতিমত বসতি হইতেছে। পশর হইতে “লাউডোবের খাল” পশ্চিমমুখে গিয়াছে ; ঐ খাল হইতে যে আর একটি খাল উত্তরবাহী হইয়াছে, তাহার নাম “কালিকাবাড়ীর খাল।” এই কালিকাবাড়ীর খালের পাশ্বে বৰ্ত্তমান সময় শ্ৰীহরিচরণ দে নামক এক প্রজার জমির উত্তরে প্রকাও ইষ্টকস্তুপ পাওয়া গিয়াছে। এখানে কোন প্রকালীবাড়ী ছিল বলিয়া বোধ হয় ; তদনুসারে সম্ভবতঃ খালের নাম হইয়াছে। yকালীবাড়ী এ অঞ্চলে আরও অনেক আছে ; তন্মধ্যে ডাকৃরার প্রকালীবাড়ী প্রসিদ্ধ। ইহা রামপালের দক্ষিণ পূৰ্ব্ব কোণে কুমারখালি নদীর উপর অবস্থিত। এখনও বহু দূরবর্তী স্থান হইতে লোকে এই সুন্দরবনের কালীবাড়ীতে ৮ধূজা দিতে আসে এবং এখানকার মাহাত্ম্য সম্বন্ধে অনেক গল্পকথা প্রচলিত আছে । কতকাল পূৰ্ব্বে কাহার দ্বারা এই পূজার স্থান ও মন্দিরাদি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, তাহা জানা বায় না। পশ্চিমদিকে কপোতাক্ষের কূলে কপিলমুনি নামক স্থানে অনেক প্রাচীন নিদর্শন আছে। এখানে একটি পুকুর কাটিতে যে কয়েকটি প্রস্তরময়ী মূৰ্ত্তি পাওয়া গিয়াছিল, তন্মধ্যে দুইটি এক্ষণে নিকটবৰ্ত্তী প্রতাপকাঠি গ্রামে শ্ৰীবসিকলাল হালদার মহাশয়ের বাটতে পূজিত হইতেছেন। এ দুইটি বৌদ্ধমৃত্ত, কিন্তু এক্ষণে বিষ্ণু ও ব্ৰহ্মা বলিয়া পূজিত হন। আরও দক্ষিণে কপোতাক্ষের কূলে প্রসিদ্ধ আমাদিগ্রাম। এখানে এক “পরীমালা” দেবী আছেন। আমাদির দক্ষিণেই সুন্দরবন। কয়ড়ানদীর অপর পারে নারায়ণপুর নামক স্থানে বহুকালপূৰ্ব্বে মৃত্তিকার নিম্নে এক প্রস্তরময়ী দেবীমূৰ্ত্তি পাওয়া যায়। এটি চতুৰ্ভুজ চামুণ্ডামূৰ্ত্তি। এখনও ইহার নিত্য পূজা হয়। আমাদিগ্রামে “কালিকা দীঘি” নামে প্রকাণ্ড জলাশয় আছে। ইহার পরিমাণ ৮০০ হাত x ৭০০ হাত হইবে। দীঘিটি উত্তর দক্ষিণে দীর্ঘ ; উহার উপর এরূপ ভাবে দাম দল হইয়াছে যে তাহার উপর দিয়া মানুষ ও গরু স্বচ্ছন্দে হাটিয়া যাইতে পারে। তথাপি পুকুরের জল অতি মিষ্ট এবং উহ! এখনও তৎপ্রদেশের বহুলোকের জলকষ্ট নিবারণ করিতেছে। খুলনার পূৰ্ব্বভাগে রামপালের সন্নিকটে হুড়ক নামক স্থানে এইরূপ আর একটি সুপেয় সলিলপূর্ণ জলাশয় আছে। ইহাকে “ঝলমলে দীঘি” বলে। এ দীঘি কতকাল পূৰ্ব্বে কবে কাহার দ্বারা খনিত হইয়াছিল, তাহা জানা যায় না। ইহার জল কখনও শুকায় না এবং ইহাতেরিশেষ >>