পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X88 যশোহর-খুলনার ইতিহাস। টেঙ্গরাখালি, পুটি, পুটিখালি, পুটিমারি, বাইনতলা, বাটকেমারি, বোয়াইলমারি, বোয়ালিয়া, মাছখোল, মাগুর, মাগুরাডাঙ্গা, শৈলমারি, সিঙ্গা প্রভৃতি। ইহার অধিকাংশে এক নামে ২।৩টি বা ততোধিক গ্রাম আছে। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যাইতে পারে খলিসাখালি যশোহরে ৭টি এবং খুলনায় ৪টি আছে, বোয়ালিয়া যশোহরে ৬টি ও খুলনায় ৪টি, মাগুরা যশোহরে ৮টি ও খুলনার ৪টি, টেঙ্গর মাছের নামে যশোহরে ৫টি ও খুলনায় ৬টি, সিঙ্গ যশোহরে ১৫টি এবং খুলনায় ২টি আছে। যশোহরে এক নামে অধিকতর গ্রামের নাম আছে, খুলনায় অধিকতর জাতীয় মৎস্তের নামে গ্রামের নাম আছে। মোটের উপর এক এক জেলায় ৬০৭০ খানি মৎস্তনামীয় গ্রাম আছে। যে সকল মৎস্ত এই অঞ্চলে পাওয়া পায়, সেই সকল মৎস্তের মধ্যেই গ্রামের নাম আছে। কোন অপ্রাপ্য বা বৈদেশিক মৎস্তের নামে কোন গ্রামের নাম হয় নাই। যশোহর জেলার অধিকাংশস্থলে মৎস্তের শুধু নাম মাত্র আছে, মৎস্তের পর্যাপ্ত আমদানী নাই। খুলনাই এক্ষণে উভয় জেলার মৎস্ত সংস্থান করে বলিলে অত্যুক্তি হয় নাই। যশোহরে উচ্চ জমি বা ডাঙ্গ অধিক, খুলনায় খাল, বিল ও মৎস্ত প্রচুর । কিন্তু রেলওয়ে ট্রেণের ব্যবস্থায় প্রচুর ও পর্যাপ্ত প্রভৃতি কথা দেশান্তরিত হইতেছে। গ্রামের নামের ইতিহাস অবিরত পরিবর্তিত হইতেছে, পুরাতন নাম উঠাইয়া কৃতী পুরুষ বা জমিদারের স্কৃতি গ্রামের গায়ে লিখিয়া রাখা হইতেছে। এইরূপ পরিবর্তনের ইতিহাস সঙ্কলন করা অতীব কঠিন ব্যাপার। চতুর্থত: জলমগ্ন দেশ যখন দ্বীপাকারে দেশে পরিণত হয়, তখন তাহার আর একটি প্রকৃতি এই যে উহার সভ্যতা নদীপথেই বাহিত হয়। বিস্তৃত জলরাশির মধ্যে দ্বীপ উৎপন্ন হইলে, মধ্যে মধ্যে বড় বড় নদী খাল রহিয়া যায়। ক্রমে এই সকল নদীপথে পলি আসিয়া কূলভাগ উন্নত ও সমুর্বর করে এবং সেই সকল নদীর কুলে উচ্চ শুষ্ক উৰ্ব্বর জমি পাইয়া লোকে বসতি করিয়া গ্রাম প্রতিষ্ঠা করিয়াছিল। এই দুই জেলার প্রাকৃতিক বিবরণে পূর্ক্সে তাহার আলোচনা করা হইয়াছে। মনোযোগ সহকারে দেখিলে আমরা দেখিতে পাই, পশ্চিমে যমুন-ইচ্ছামতী, মধ্যস্থলে দক্ষিণমুখী কপোতাক্ষ এ পূৰ্ব্বমুখী ভৈরব, উত্তরভাগে নবগঙ্গী-চিত্র, এবং পূৰ্ব্বসীমা মধুমতী-ই