পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধ সংঘারাম। >>年 দক্ষিণে চাঁদখালি পৰ্য্যন্ত গেলে, অনেক স্থানে পুরাতন বাটীর ভগ্নাবশেষের স্তুপ পাওয়া যায়। ঝাপার কাছে, তালার নিকটবৰ্ত্তী আগরবাড়ায় ও কপিলমুনির সান্নিধ্যে আগ্রা নামক গ্রামে অনেকগুলি স্থপ আছে। আগরঝাড়ার দক্ষিণে শ্রপদণ্ডছ গ্রাম। ঐ স্থানে হাড়দহ ও শ্ৰীপদদহ পুষ্করিণী বৌদ্ধসম্বন্ধের সন্দেহ জন্মায়। নিকটবৰ্ত্তী আটারই ও বারুইহাট গ্রামে কতকগুলি ইষ্টকগুহের ভগ্নাবশেষ আছে। কপিলমুনির বাজার হইতে ১ মাইল উত্তর পূর্ব কোণে আগ্রা গ্রাম । এখানে প্রধানতঃ डिनाँ ঢিপি আছে ; তন্মধ্যে ২টি বড় ও একটি ছোট। যোগীরা বৌদ্ধ ছিল, তাহা আমরা প্রমাণ করিব । এখানে যোগীর বাস পূৰ্ব্ব হইতে আছে। সমস্ত আগ্র গ্রামটিই একটা ভগ্নাবশেষ। গ্রামের যেখানে খনন করা যায়, সেখানেই ইষ্টক বাহির হয়। গ্রামের মধ্যে একটি রাস্ত গিয়াছে, উহা পূৰ্ব্বে সম্পূর্ণ পাকা রাস্ত ছিল, অনেক স্থানে তাহার নিদর্শন আছে । গ্রামমধ্যে সকল স্থানেই গৰ্ত্ত খনন করিতে হইলেই ইট বাহির হয়। তা’জোর পুকুর নামে একটি অতি প্রাচীন বাধাঘাটওয়ালা পুকুর আছে। ওয়েষ্টগাণ্ড সাহেব এখানকার একটি স্তুপ খনন করাইয়াছিলেন ; উহার গর্তের মধ্যে অবতরণ করিলে প্রাচীর ও জানালার ভগ্নাবশেষ সুস্পষ্ট দেখা গিয়াছিল । * আথার উত্তর কাশিমনগর গ্রামে ২টি স্তুপ আছে। উহার একটি এখনও লাগিপাড়ার মধ্যস্থানে। যোগিগণ এখানকার প্রাচীন বাসিন্দা। কপিলমুনি গ্রামেই বহুসংখ্যক ধোগীর বাস আছে। তাহাদের মধ্যে বাগনাথ মোহান্ত নামক এক সাধুর নাম বিশেষ প্রসিদ্ধ। তাছার জীবন্ত কবর হইয়াছিল। বাগনাথের সে সমাধিস্থান সকল শ্রেণীর লোক দ্বারা সম্মানিত হয়। সুন্দরবন অঞ্চলের একটি বিপ্লবের পর পাঠান আমলের মধ্যস্থলে যখন এ প্রদেশে পুনরায় বসতি পত্তন হইতে থাকে, তখনই বাগনাথ ও র্তাহার গুরু শিশুনাথ অধিবাসিগণের অগ্রদূতরূপে এইস্থানে উপনীত হন এবং তাহারাই প্রথম জঙ্গলাবৃত কালী বাড়ীর আবিষ্কার করেন । এই জন্ত সাধারণ লোকে বলে কালীবাড়ী তাহারাই স্থাপিত করিয়াছিলেন। বাগনাথ বাকৃসিদ্ধ সাধুপুরুষ ছিলেন। ইহার বংশীয়গণ এক্ষণে বৈষ্ণব বলিয়া পরিচয় দেয়।

  • Westland's Jessore p. 42.