পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৮ যশোহর-খুলনার ইতিহাস । ১৩০৩ সালে কপিলমুনিনিবাসী ত্রযুক্ত বিনোদবিহারী সাধু খাঁ মহাশয়ের বাড়ীতে একটা পুষ্করিণী খননকালে ১৭১৮ হাত মাটার নিম্নে ৪টি প্রস্তরমূৰ্ত্তি পাওয়া যায়। তন্মধ্যে ৩টি রক্তপ্রস্তরের ও একটি কৃষ্ণ প্রস্তরের। একটি কৃষ্ণপ্রস্তরের ও একটি রক্তমূৰ্ত্তি ভাঙ্গিয়া যায়, তজ্জন্ত নদীগর্ভে নিক্ষিপ্ত হয়। র্যাহারা দেখিয়া ছিলেন, তাহাদের বর্ণনা হইতে অনুমান করা যায়, উহার মধ্যে একটি অবলোকিতেশ্বর মূৰ্ত্তি ছিল। অবশিষ্ট ২টি মূৰ্ত্তি নিকটবর্তী প্রতাপকাটি গ্রামনিবাসী শ্রীরসিকলাল হালদার মহাশয়ের বাড়ীতে আছে। দুইটিই রক্তপ্রস্তর নিৰ্ম্মিত। বড়টির পরিমাণ ১১^x ৬ ইঞ্চি । ইহা চারি হস্তবিশিষ্ট দণ্ডায়মান মূৰ্ত্তি ; দক্ষিণদিকে উপরের হস্তে চক্র ও নিম্নে গদা এবং বামদিকে উদ্ধে শঙ্খ ও নিম্নে পদ্ম । পুরাণাদিতে যে চতুৰ্ব্বিংশতি প্রকার বিষ্ণুমূৰ্ত্তির উল্লেখ আছে, তদনুসারে এ মূৰ্ত্তির নাম মাধব । ছোট মূর্তিটিও চারি হস্তবিশিষ্ট ; উপরোক্ত ক্রমে হস্তগুলিতে চক্র, পদ্ম, শঙ্খ ও গদা আছে। পরিমাণ ৭¥X ৪ এ মুক্তির নাম জনাৰ্দ্দন হালদার মহাশয়ের বড়টিকে ব্ৰহ্মা এবং ছোটটিকে বিষ্ণু বলিয়া পূজা করেন। উপরোক্ত পুকুর খননকালে প্রাচীর সমেত একটি ভগ্ন মন্দির বাছির হয়। তাহার মধ্যেই মূৰ্ত্তিগুলি ছিল। এই মন্দির মধ্যে মোমবাতিতে আলোক দেওয়া হইত ; তাহা হইতে এক রাশি মোম সঞ্চিত হইয়াছিল। উহার একটি পিণ্ডও ঐ সময়ে পাওয়া যায়। মোম মাটীর নিয়ে যুগযুগান্তর থাকিলেও नटे इग्न ना। इश श्ड दूत बांग्र, cरु भनिब्राः श्ठं९ छूथभिङ श्छ। গিয়াছিল এবং মন্দিরমধ্যে হিন্দু ও বৌদ্ধ মূৰ্ত্তি একত্র সমভাবে পূজিত হইতেন । কপিলমুনির উৎপত্তি ও প্রাচীনত্বের যথেষ্ট প্রমাণ আমরা পূৰ্ব্বে দিয়াছি। তাহার সহিত এস্থলে যে সব বিবরণ দেওয়া গেল, তাহ একত্র পর্য্যালোচনা করিয়া আমরা স্বচ্ছদে অনুমান করিতে পারি যে কপিলমুনিতে একটি বৌদ্ধ সংঘারাম ছিল । খুলনা জেলায় দৌলতপুর হইতে সাতক্ষীরা যাওয়ার রাস্তায় দক্ষিণ মুখে ১৩ মাইল গেলে বুড়ীভদ্র নদীর কূলে ভরতভায়না গ্রাম। এইস্থানে নদীর সন্নিকটে এক প্রকাও ইষ্টকন্তুপ আছে। উহা এখনও ৭• ফুট উচ্চ আছে; লোকে • প্রযুক্ত বিনে দ্ববিংtী কাব্যতীর্থ প্রণীত “বষ্ণুমূৰ্ত্তি প রচং" ও ৮ পৃঃ ।