পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२०२ . যশোহর-খুলনার ইতিহাস । মধ্যে কয়েকস্থানে স্তুপ বা চৈত্যের নিদর্শন পাওয়া যায়। স্থানীয় উত্তর দক্ষিণে দীর্ঘ প্রকাও দীঘির ইতিহাসের সহিত অনেক প্রাচীন কাহিনী বিজড়িত আছে। বোধখানায় অপেক্ষাকৃত আধুনিকযুগের ভগ্নবাটী প্রভৃতি থাকিলেও উহা যে একটি পুরাতন স্থান তাহাতে সন্দেহ নাই এবং উহার নামেও কিছু বৌদ্ধ সম্বন্ধের ইঙ্গিত করে। গোবরডাঙ্গার সন্নিকটে যমুনাগর্ভে মুন্দর ধানী বুদ্ধমূৰ্ত্তি পাওয়া গিয়াছে এবং উহা এখনও বনগ্রামের সন্নিকটে এক গ্রামে রক্ষিত আছে। মসজিদকুড় বা বাগেরহাট পাঠান পীরের লীলাক্ষেত্র। এখানকার হিন্দু বৌদ্ধ নিদর্শন মুসলমান কীৰ্ত্তির কুক্ষিতলে বিলুপ্ত হইয়াছে। তবুও কিছু আছে। মসজিদকুড়ে একটি নবগুম্বজ মসজিদ আছে, উহাতে চারিট প্রস্তরস্তম্ভ বিদ্যমান। - বাগেরহাটে একটি ৭৭ গুম্বজওয়ালা বিরাট ভজনালয় আছে, উহাতে ৬০টি স্তম্ভ। এ সকল দীর্ঘকাল স্থায়ী হৰ্ম্মারাজি এখনও আছে। দেশের লবণাক্ত বায়ু এবং স্বার্থসেবী মামুষের খনিত্রের আঘাত সহ করিয়া, তাহারা এখনও অক্ষুণ্ণ অবস্থায় দণ্ডায়মান রহিয়াছে। এই উভয় অট্টালিকার প্রস্তর কোথা হইতে আসিল ? সমতটে প্রস্তর নাই ; কিন্তু শুধু এই দুই অট্টালিকায় নহে, আরও কতস্থানে প্রস্তরস্তম্ভ পড়িয়া রহিয়াছে। কোথায়ও কৃষ্ণপ্রস্তর এবং কোথায়ও রাজমহল অঞ্চলের প্রস্তর দেখা যাইতেছে। অনেকে বলেন, এ সকল প্রস্তর খাজাহান আলি চট্টগ্রাম হইতে জাহাজে আনিতেন। কিন্তু পাথরগুলি দেখিলে তাহার সবগুলি চট্টগ্রামের প্রস্তর বলিয়া বোধ হয় না । বিশেষতঃ কৃষ্ণ বা রক্ত প্রস্তরগুলি যে চট্টগ্রামের নহে, তাহ নিশ্চিত । ইহাই প্রথম সন্দেহ । দ্বিতীয়তঃ, কেহ মসজিদাদি নিৰ্ম্মাণের জন্ত স্বয়ং স্তম্ভ প্রস্তুত করিবার ব্যবস্থা করিলে, উহার সকলগুলি সমান, উপযুক্তভাবে পুষ্ট এবং পরিমাণামু্যায়ী করিয়া লইয়া থাকেন। প্রাচীন গ্ৰীকদিগের মত এদেশে মুসলমানেয়া নক্স স্থির করিয়া শিল্পীকে দিতেন। যাহারা পাথর কাটিত, তাহারা সেই নক্সা মত পাথর কাটিয়া দিত। সুতরাং কোন একটি গৃহের জন্য নির্মিত স্তম্ভের গঠনাদি একরূপ হইবারই কথা । কিন্তু খাজাহান আলিয় সাতগুম্বজে বা মসজিদকুড়ের নবগুম্বজে স্তম্ভগুলি দেখিলে সেরূপ বোধ হয় না। উহার অনেকগুলি দৈর্ঘ্যে কম বেশী আছে, অনেকগুলি বিপৰ্য্যস্ত করিয়া লাগান হইয়াছে। সাতগুম্বজের পাথরগুলি সব ভারবহনক্ষম হইবে না ভাবিয়া হয় ত সবগুলিই ইষ্টকম্বারা ঢাকিয়া