পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bo যশোহর-খুলনার ইতিহাস । করিতেছেন। ধনপতিও এই একই প্রকার সওদাগর, চাদবেণের মত র্তাহারও বিস্তৃত কারবার ছিল। দক্ষিণদেশে যেখানে বসতির শেষ ও বনের আরম্ভ, সেইরূপ অনেক স্থানে ইহাদের কীৰ্ত্তি চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। খুলনা জেলায় কপিলমুনি এক অতি পুরাতন স্থান। সেখানে প্রাচীন কাল হইতে মুনির আশ্রম ও কপিলেশ্বরী দেবীর মন্দির ছিল। ধনপতি সেখানে বাণিজ্যাৰ্থ আসিয়া উহার দক্ষিণে লহনা খুল্লনার নাম প্রতিষ্ঠা করিয়া যান। এখনও কপিলমুনি হইতে দক্ষিণ মুখে কাটিপাড়া যাইবার পথে বর্তমাম ডিষ্টাক্ট বোর্ডের রাস্তায় এক স্থানে লহন খুল্লনার পুল ও বিল আছে। সম্ভবতঃ ধনপতি সওদাগর কপিলেশ্বরী নামের অন্তকরণে নয়াবাদের প্রান্তে ভৈরবকুলে তাহার প্রিয়তম স্ত্রীর নামে খুল্লনেশ্বরী নামে চওঁীদেবীর এক মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। খুল্লনা দ্বারাই প্রথম বণিক সমাজে চওঁীদেবীর মাহাত্মা ব্যাখ্যাত হইয়াছিল। এই খুল্লনেশ্বরী হইতেই খুলনা নামের উৎপত্তি হইয়াছে বোধ হয়। কোম্পানীর আমলে রেণী নামক এক সৈনিক ঘটনাচক্রে বর্তমান খুলনার পূৰ্ব্ব পারে তালিমপুর গ্রামে আসিয়া খুল্লনেশ্বরীর মন্দিরের সন্নিকটে নদীতীরে বসতি স্থাপন করেন ; এবং নীল, চিনি প্রভৃতি দ্রব্যের বিস্তৃত বাণিজ্য খুলেন। যথাস্থানে ইহার পৃথক্ বিবরণ প্রদত্ত হইবে। ক্রমে নিকটবৰ্ত্তী প্রবল জমিদার শিবনাথ ঘোষের সহিত র্তাহার ভীষণ বিবাদ হয়, শান্তিরক্ষার জন্ত কোম্পানি কর্তৃক তখন রেণী ও শিবনাথের বাড়ীর মধ্যস্থানে “নয়াবাদের থান” স্থাপিত হয়।8 অচিরে যখন ঐ বিবাদ রীতিমত যুদ্ধ বিদ্রোহে পরিণত হয়, তখন খুলনা নামে এইস্থানে একটি সব ডিভিসন স্থাপিত হয় (১৮৪২ খৃঃ) বঙ্গদেশের মধ্যে খুলনাই প্রথম সবডিভিসন্‌ ; তদবধি এই নাম চলিয়া আসিতেছে। পূৰ্ব্বে রূপসা একটি ক্ষুদ্র থাল ছিল ; উহা এক্ষণে প্রকাণ্ড নদীর আকার ধারণ করিয়া নয়াবাদ ও প্রাচীন খুল্লনাকে বর্তমান খুলনা সহর হইতে পৃথক্ করিয়া ফেলিয়াছে। • যুক্ত রায়সাহেব দীনেশচন্দ্র সেন প্রণত 'বঙ্গভাষা ও সাহি?” ১৭৪ পৃষ্ঠা। # William Henry Sueyd Raincy of the 3rd Buffs. - বর্তমান খুলনা সহরের পূর্বপারে ভালমপুরে রেণীসাহেবের নূতন বাড়ীর উত্তর পুৰ্ব্ব কোণে নদীকূলে আমরা বিখ্যাত খুল্লনেশ্বরীর মন্দির দেখিয়াছি। উহ। আজ ৩-বৎসর হইল নদীগর্ভস্থ হইকাছে। এক্ষণে খুল্লনেশ্বরী কালিকা আরও কিছু পুৰ্ব্বদিকে গ্রামের কোণে পূর্ববৎ পূজিত হইতেছেন। $ এখনও তালিমপুরে রেণী সাহেবের পুরাতন বাড়ী ও খ্রীরামপুর গ্রামের মাঝখানে একটি উচ্চভিট্টি ও থানার পুকুর’ আছে। ঐস্থানে নয়াবাদের থান ছিল ।