পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খালিফাতাবাদ । లిషి) চাদ খাঁ, এক্তিয়ার খা, বক্তার খাঁ ; আলম খাঁ, আনর খ ; সাহাদাদ খাঁ, সন্দেশ খ ( সাতোষ খ1), সের খা, বাহাদুর খা, দরিয়া খা, দিদার খ, গঙ্গা খা, মহম্মদতাহের খী (পীর আলী) ও আহম্মদ খা (জিনা পীর) । এতদ্ব্যতীত মেহেরউদ্দীন, পীর জয়ন্তী প্রভৃতি যে আরও কয়েকজন খাজাহানের অমুচর বলিয়া কল্পিত হইয়া থাকেন,তাহাদের কথা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। পূৰ্ব্বোক্ত কয়েকজনের মধ্যে গরিবসাহ ও বেরামসাহের সমাধি যশোহরে আছে এবং বুড়া খাঁ ফতেখার সমাধি আমাদি গ্রামে দেখা গিয়াছে। কিন্তু ইহারা বাগেরহাটেও আসিতেন, তাহার পরিচয় আছে। যাট্‌গুম্বজ হইতে ২৩ মাইল পশ্চিমদিকে সায়েড়া গ্রামে ভুটিয়ামারির হাটের দক্ষিণে গরিবসাহের দীঘি ও চেল্লাখানা বা সাধনস্থান ছিল। একটি প্রকাণ্ড মৃত্তিকার ঢিপির মধ্যে একটি গুহাতে এই চেল্লা ছিল । এখন সাধারণ লোকে ঐ স্থানকে ছিলেখানা বলিয়া থাকে। খালিফাতাবাদে বুড়া খার দীঘি এখনও আছে । ষাট্‌গুম্বজ হইতে ক্রমে পূৰ্ব্বমুখে অগ্রসর হইলে আমরা খাঁ জাহান ও র্তাহার সহচরগণের নামীয় নানা কীৰ্ত্তিচিহ্ন দেখিতে পাইব । ষাট্‌গুম্বজ হইতে একটি রাস্ত উত্তরমুখে ভৈরবের কুল পৰ্য্যন্ত গিয়াছিল। ঐ রাস্তারই পূৰ্ব্বপার্থে খাজাহানের গড়বেষ্টিত আবাসবাটী ও তাহার সংলগ্ন মসজিদ ছিল । নদীর তীরে গড়বেষ্টিত বাড়ীর সদর দ্বার ছিল। বেষ্টনপ্রাচীর ও গড়ের চিহ্ন এখনও আছে। ১৫০ x ১২৯ ফুট পরিমিত স্থানে ইষ্টকর্পসমূহ পুৰ্ব্বকীৰ্ত্তির আভাস দেয়। সেই স্তুপের ভিতর একটি প্রকাও প্রস্তরস্তম্ভ পড়িয়া আছে। এখনও সাধারণ লোকের মুখে গল্পকথায় শুনিতে পাওয়া যায়, খ জাহানের সোণাবিবি ও রূপাবিবি নামক দুই স্ত্রী ছিলেন, তাহারা ঐ বাড়ীতেই ৰাস করিতেন। এজন্ত সাধারণ লোকে ইহাকে সোণাবিবির বাড়ী বলে। দুই স্ত্রী থাকিলেই ঝগড়া হয় ; সোণাবিবি ও রূপাবিবির মধ্যেও ঝগড়া বিবাদ হইত। তাহার ফলে একজন বিষ খাইয়া বাটীর পাশ্ববৰ্ত্তী পুকুরে ঝাপ দিয়া মরেন ; ঐ পুকুরকে এখনও বিষপুকুরিয়া বলে ; অন্য জন মৃত্যুমুখে পতিত হইলে, ঘোড়াদীঘির পশ্চিম দক্ষিণ কোণে সমাহিত হন, ঐ সমাধিস্থানকে বিবিজানের মসজিদ বলে। খী জাহানের পূর্বপরিচয় সম্বন্ধে আমরা পূর্বে যে আলোচনা 8X